সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ এপ্রিল, ২০১৯ ১৫:০৬

'নির্বাচনী দ্বন্দ্বে' সুবর্ণচরে আবার গণধর্ষণ

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছয় সন্তানের এক জননীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১ এপ্রিল) ভোট শেষে কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর বাগগা গ্রামের রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নির্যাতিত নারীর অভিযোগ, গতকাল রোববার চরজব্বর ইউনিয়নের সমিতিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার স্বামী। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজ উদ্দিন বাবরের সমর্থক হওয়ায় অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহারের সমর্থকরা তাদের হুমকি দেয়। এই ভয়ে তারা উপজেলার পশ্চিম চর জব্বরের নিজ বাড়িতে না গিয়ে বিকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে  আশ্রয় নেয়।

পরে একা থাকা সন্তানদের কথা ভেবে রাত আটটার দিকে তারা মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ইউসুফ ও বেচু মাঝিসহ কয়েকজন তাদের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা নির্যাতিতার স্বামীকে মারধর করে মুখ বেঁধে ফেলে। পরে ছয় সন্তানের জননীকে গত সংসদ নির্বাচনে আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান হোতা রুহুল আমিনের কলাবাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে।    

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিশা বলেন, খবর পেয়ে তারা নির্যাতিতা নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এখন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদিদন আজিম জানান, এক মহিলা ও তার  স্বামীকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চার সন্তানের জননী চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা দেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে উপজেলার ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৯ জনের নামে মামলা করেন।

নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত