সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মে, ২০১৯ ১২:১৭

দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একইসঙ্গে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনেরও উদ্বোধন করেছেন।

শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নকাজ অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের সেতুগুলোর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এটা চলমান থাকবে। প্রায় সারা বাংলাদেশে একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান মিলে সব দিক থেকে মানুষের যোগাযোগটা যাতে সহজ হয়ে যায় সেই চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আরও এগিয়ে নেবো।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এর আগে কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, নবনির্মিত কাঁচপুর ব্রিজ ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন দুটি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন।

নুরুজ্জামান জানান, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেসম কোম্পানি লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রিজের কাজ শুরু করে। এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুনে কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। যদিও ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণকাজ চার মাস বন্ধ ছিল। এ কারণে সরকার নির্মাণকাজের সময় ছয় মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। এরপরও সেতু তিনটির নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে।

নুরুজ্জামান জানান, ‘৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণকাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়। নতুন কাঁচপুর সেতু পুরানোটির চেয়ে প্রস্থে ২ মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই পুরানো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।’

তিনি আরও জানান, ‘যথাক্রমে এক হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১ হাজার ৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জনসাধারণের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত