সিলেটটূডে ডেস্ক

২৯ জুন, ২০১৯ ১৮:৫৮

পদ্মাসেতু এখন ২ কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান

বাসানো হয়েছে ১৪তম স্প্যান

স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে বাসানো হয়েছে ১৪তম স্প্যান। এতে পদ্মাসেতুর দৃশ্যমান হলো ২১০০ মিটার। শনিবার (২৯ জুন) ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় এই স্প্যান।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এই দুটো পিলারের ১৪ তম স্প্যানটি বসানোর কথা থাকলেও পলি পড়ার কারণে তা বসানো যায়নি। পরে ড্রেজারের মাধ্যমে পলি অপসারণ করে শনিবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে স্প্যানটি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৪২টি পিলারের উপর ভর করে ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুতে বসবে ৪১টি পিলার। যার মধ্যে তৈরি হয়েছে ২৯টি পিলার।

পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

প্রসঙ্গত, জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। দেড় মাস পর ১১ মার্চ এ ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। দু’মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। তারপর ছয় মাস ২৫ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি। এর ২৮ দিনের মাথায় ২০ ফেব্রুয়ারি বসে সপ্তম স্প্যান। এর একমাস পরে ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যানটি। এরপর ১০ এপ্রিল বসে দশম স্প্যান। এর ১৩ দিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল বসে একাদশ স্প্যান। এর ১২ দিনের মাথায় দ্বাদশ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসে ৫ মে। আর মাওয়া প্রান্তে একটি মাত্র অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয় ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত