সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৫:৫৯

চাকরিচ্যুত হতে পারেন জামালপুরের ডিসি কবীর

জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তাকে চাকরিচ্যুত কিংবা পদাবনতি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সোমবার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।

এর আগে, শনিবার সকালে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফ্ফার খান বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত আছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। বিভাগের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি হবে, এখন বন্ধ যাচ্ছে। অফিস খুললেই এটা হবে। তবে এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে তদন্ত হচ্ছে, বিভিন্ন সংস্থা-কর্তৃপক্ষ সেটা করছে। আরও অনেক অথরিটি আছে, তারাও দেখছে। এটা আমাদের নলেজেও আছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

এদিকে, ভিডিওটি সত্য কি-না, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

ডিসি অফিসের এক নারীকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি করা হয়। রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এদিকে সম্প্রতি ফেসবুকে আপলোড করা চার মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের খাস কামরায় যে নারীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া পিয়ন বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করেছেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।

তবে শুক্রবার দুপুরে জেলা সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ভিডিওটি সাজানো বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর বলেন, আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। আপনারা আমাকে একটু সময় দিবেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, একটি হ্যাকার গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে ‘ব্ল্যাকমেইল করার’ চেষ্টা করছিল। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। এটি একটি সাজানো ভিডিও বানোয়াট ভিডিওটি একটি ফেক আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হয়।

তবে ভিডিওটিতে দেখানো কক্ষটি তার অফিসের বিশ্রাম নেয়ার কক্ষ এবং ভিডিওর ওই নারী তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত