সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:২১

ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে যারা দুর্নীতির অভিযোগ আনবে, তাদের সে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনয় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ইদানিং দেখছি হঠাৎ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কথাবার্তায় ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভিসিকে দুর্নীতিবাজ বলছে। আমার স্পষ্ট কথা, যারা ভিসিকে দুর্নীতিবাজ বলছে তাদেরকে কিন্তু এই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে এবং তথ্য দিতে হবে।

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিরোধী চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, প্রমাণ করতে হবে, আর যদি কেউ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় প্রত্যেকে যারা অভিযোগ নিয়ে এসেছে। যারা বক্তৃতা দিচ্ছে- সে সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। যদি দুর্নীতি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় -যে অভিযোগকারী সে যদি ব্যর্থ হয় প্রমাণ করতে, তার কিন্তু সাজা পেতে হবে। এটা কিন্তু আইনে আছে। মিথ্যা অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেবো। সে ব্যবস্থা কিন্তু আমরা নেব। এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম।

তিনি আরও বলেন, তারা যদি প্রমাণ করতে না পারে, এতো টাকা, ওতো টাকা নিয়েছে, মুখে বললে তো আর হবে না। তারা সুনির্দিষ্টভাবে জানে বলে তো সে অভিযোগ করছে। সুনির্দিষ্টভাবে যখন জানে, তখন প্রমাণ দেবে না কেন? সেটার প্রমাণ যদি দিতে না পারে, তাহলে যে মিথ্যা অভিযোগ করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ প্রমাণ না করে কেবল দুর্নীতি দুর্নীতি বলে ক্লাসের সময় নষ্ট করবে, ক্লাস চলতে দেবে না, বিশ্ববিদ্যালয় চলতে দেবে না, তাদের আন্দোলনের নামে ভিসির বাড়িতে আক্রমণ, অফিসে আক্রমণ, ভাংচুর-এটা তো এক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ছাত্রের ঘটনা যখনই শুনি তখনই আমরা অ্যাকশন নিয়েছি। তারপরে তারা আন্দোলনে নামে, গ্রেপ্তার হয়ে গেছে, মামলা সব কিছু হয়েছে? এখন তাহলে আন্দোলন কিসের জন্য, আমার সেখানেই প্রশ্ন?

''দিনের পর দিন ক্লাস করতে দেবে না, নিজেরা ক্লাস করবে না তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে কেন? এই ধরনের কাজে যারা করবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের এক্সপেল করে দেওয়া উচিত ইউনিভার্সিটি থেকে। তারা কিসের জন্য এসব করবে?''

তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষকরা এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেন ঘটাবে? আর তারা ক্লাস কেন বন্ধ করবে? প্রত্যেকটা পাবলিক ভার্সিটি কত টাকা খরচ করে পড়ার জন্য? খরচ তো সরকারের পক্ষ থেকে করি। এটা হলে তো নিজেদের অর্থ জোগান দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানোর কথা , কিন্তু প্রতি বছর বাজেটে টাকা দেই। বাজেটে আমরা টাকা দেবো কিন্তু সেখানে সরকার কিছু করতে পারবে না। দিনের পর দিন ক্লাস বন্ধ করে থাকবে, এটা তো হয় না।

সকালে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনা আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত