সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:৩৩

আরও এক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত

করেনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বরাদ্দ চাল আত্মসাৎ করায় আরও চারজন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন সদস্যকে বরখাস্ত করে বুধবার পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ১৬ জন চেয়ারম্যান, ২২ জন সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্যসহ মোট ৩৯ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন। নরসিংদীর জেলা প্রশাসক তাকে অপসারণের সুপারিশ করলে তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ লুটের অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে।

আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ত্রাণ ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে তদন্তে প্রমাণ মেলে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এই দুই জনপ্রতিনিধিকে পদ হতে অপসারণের সুপারিশ করায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এসব ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে জনস্বার্থের পরিপন্থী কাজ করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের বরখাস্ত করা হয়।

কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ নিজ প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে জানাতেও তাদের শোকজ করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত