সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ মে, ২০২০ ১৪:৫৪

কক্সবাজারের পোকাগুলো পঙ্গপাল জাতীয় নয়

বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল- বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার সময়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ছোট পোকা আক্রমণ করে। এতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় প্রথম দিকে তাদের দমন করার পর পুনর্বার আক্রমণ করে পোকাগুলো। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তারা জানান, পোকাগুলো মরুভূমির ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপাল জাতীয় কোনো পোকা নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ঘাসফড়িঙয়ের মতো কিছু ছোট পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।

অতিসম্প্রতি ঘাসফড়িঙ সদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে কৃষি মন্ত্রণালয় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুক্রবার (১ মে) সকালেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক পৃথক টিম রওনা দিচ্ছেন। ঘাসফড়িঙ সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় এই পোকার শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে এই টিম কাজ করবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক জানান যে, গতকাল (৩০ এপ্রিল) কীটনাশক স্প্রে করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মারা যায়। সেখানে আর কোনো জীবিত পোকা নেই। এই পোকা তেমন ক্ষতিকর নয় মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত