বেনাপোল প্রতিনিধি

১১ মে, ২০২০ ১১:৩৪

বেনাপোল রেলপথে পুনরায় আমদানি বাণিজ্য শুরু

করোনা প্রতিরোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল রেলপথে প্রায় দেড় মাস আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। তবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এসব ওয়াগনে জীবাণুনাশক স্প্রে না করায় এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকারী নির্দেশনা না থাকায় তারা পণ্যবাহী ওয়াগনে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। তবে রেল কর্মীদের নিরাপত্তায়ও রেলে জীবাণুনাশক স্প্রের প্রয়োজন রয়েছে মনে করেন রেল কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১০ মে) বিকেলে ভারত থেকে ৪১টি ওয়াগনে দুই হাজার ৩৯০ মে. টন সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহৃত ফ্লাই অ্যাশের একটি চালান আমদানি হয়। পণ্যের আমদানি কারক ঢাকার রিলাইন্স ট্রেড করপোরেশন। রপ্তানি কারক ভারতের ওরিয়েন্টাল ইন্টারন্যাশনাল। কাস্টমসের কার্যক্রম শেষে এসব পণ্য আগামীকাল সোমবার নওয়াপাড়া নৌ-বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় যাবে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, করোনার মধ্যে স্থল পথে ভারত থেকে পণ্য আমদানি সময় আমরা দেখলাম পণ্যবাহী ট্রাকে দুই দেশের পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু রেল পথে আমদানিতে এসব কিছু মানা হচ্ছে না। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পণ্য রেলের মাধ্যমে  আমদানি হচ্ছে। তাই এ পথে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

আমদানি করকের প্রতিনিধি কামাল হোসেন বলেন, যেহেতু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্থলপথে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে যদি সরকার রেল পথে বাণিজ্যের দিকে নজর দেয় সেক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি যেমন কম থাকবে তেমনি প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আসবে সরকারের। বেনাপোল স্টেশনে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা না থাকায় ৬০ কিলোমিটার দূরে নওয়াপাড়ায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাস করতে হয়। এতে যেমন সময় লাগে বেশি তেমনি অর্থেরও অপচয় হয়। রেলপথে অবকাঠামো বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ভারত থেকে ৪১টি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হয়েছে। সোমবার এসব পণ্য কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে খালাস হবে। পণ্যবাহী রেলে জীবাণুনাশক ছিটানোর বিষয়টি দেখেন রেলওয়ের লোক এন্ড ক্যারেজ ডিপোর কর্মকর্তারা।

বেনাপোল রেলওয়ের লোক এন্ড ক্যারেজ ডিপোর ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী ফকরুল ইসলাম বলেন, মালবাহী রেলে জীবাণুনাশক স্প্রে করার বিষয়ে তারা উপর থেকে কোন নির্দেশনা পায়নি। এছাড়া ব্যক্তিগত চেষ্টায় ৪১টি ওয়াগনে জীবাণুনাশক স্প্রে করা সম্ভব নয়। নির্দেশনা পেলে তারা অবশ্যই তা দেখবেন।

উল্লেখ্য, বেনাপোল স্থলপথে আমদানির পাশাপাশি রেলপথেও প্রচুর পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এসব আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানার কাঁচামাল, ফ্লাই আ্যাশ, তুলা, পাথর, জিপসাম, গম উল্লেখযোগ্য। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিরোধ হিসেবে গত ২৫ মার্চ থেকে বেনাপোল রেলপথে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত