সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ মে, ২০২০ ১৫:০৭

করোনায় ৮৯ হাজার কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা চেয়ে রিট

ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ কারাবন্দিদের মহামারি করোনার ছোবল থেকে বাঁচাতে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও কারা মহাপরিদর্শকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মে) ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

রিটটি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রিটে দেশের সব কারাগারে কারাবন্দি ও কারারক্ষীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশন চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের আলোকে কী কী প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে, তা আদালতকে জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ মে বিভিন্ন কারাগার ও সংশোধনাগারে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মুক্তির বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।

নোটিশে বলা হয়েছিল, গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছুটির আদলে মূলত লকডাউন পালন করছে। সব পর্যায়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কিন্তু করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দিদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জনকে রাখার জায়গা থাকলেও বর্তমানে সেখানে ৮৫ হাজার বন্দি রয়েছে। এ অবস্থায় কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব। এরই মধ্যে ২৩ জন কারারক্ষী ও দুই জন বন্দির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও গেছেন।

বিভিন্ন দেশ কারাবন্দিদের মুক্তি দিয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও তিন হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এটি যথেষ্ট নয়। কিন্তু কারাবন্দিদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের ওপরই বর্তায়। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন কারাগার ও সংশোধনাগারে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মুক্তির বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ জানাতে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত