সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ অক্টোবর, ২০১৫ ১৯:২৬

কাদের সিদ্দিকীর হরতাল প্রত্যাহার

সাবেক মন্ত্রী ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগজনিত কারণে শূন্য হওয়া টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী এবং তার সহধর্মীনি নাসরিন সিদ্দিকিসহ ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রতিবাদে বুধবারের টাঙ্গাইলে ডাকা হরতাক প্রত্যাহার করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী জানান, দলের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর অনুরোধে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীসহ চারজনের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান।

এ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, অগ্রণী ব্যাংকের ১০ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৪২৩ টাকার ঋণ খেলাপের দায়ে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিলের খবরের পর দুপুরে তাৎক্ষণিকভাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল জেলায় বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়।

দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কালিহাতীর এলেঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা সড়কে টায়ার বিক্ষোভ করতে থাকলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ২টার দিকে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরে বিকালে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এসে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমার মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য সড়ক অবরোধ, হরতাল করতে হবে না। আমি খুশি হতাম, যদি আপনারা কালিহাতীতে মা-ছেলেকে যৌন নির্যাতন এবং পুলিশের গুলিতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে হরতাল অবরোধ করতেন।

হরতাল প্রত্যাহারে তার অনুরোধে টাঙ্গাইলে বুধবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।

প্রার্থিতা বাতিল হওয়া বাকি দুজন হলেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) সৈয়দ মুশতাক হোসেন রতন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলীম।

বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অপর দুই প্রার্থী ইকবাল হোসেন সিদ্দিকী ও হাসমত আলী, এনপিপির ইমরুল কায়েস, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাদেক খান ও বিএনএফের আতাউর রহমান খানের প্রার্থিতা বৈধতা পায়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১০ জনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এখন বৈধ প্রার্থী থাকলেন ছয়জন।

এদের কেউ চাইলে ২১ অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ২২ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচারণা।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচন হবে আগামী ১০ নভেম্বর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত