নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ০২:২২

সিলেটের আল-আমিন ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন বৃহত্তর সিলেটের ছাত্রলীগের পরিচিতমুখ আল-আমিন রহমান। এছাড়া সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আলী হোসেন আলম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত হয়েছেন।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য ৬৮ পদগুলোতে নতুন নেতা মনোনীত করার তথ্য জানানো হয়। এতে স্থান পান আল-আমিন রহমান ও আলী হোসেন আলম। এরমাধ্যমে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি এক বছরেরও বেশি সময়ের পর অবশেষে পূরণ করা হল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের মাস্টার্সের ছাত্র আল-আমিন রহমান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি হন আল-আমিন। উচ্চমাধ্যমিক পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে হল রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। হল কমিটির সহ-সম্পাদক থেকে দায়িত্ব পান সাধারণ সম্পাদকের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার দায়িত্ব নিয়ে সুসংগঠিত করেন ছাত্রলীগকে।

সিলেটের ছাতক উপজেলায় বেড়ে উঠা আল-আমিন রহমানের তিন ভাই ও দুই বোন। বড় ভাই আলমগীর শাহরিয়ার কবি ও গবেষক, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করেছেন। তার আরেক ভাই জাহাঙ্গীর নোমান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে ৩৮তম বিসিএস পাস করেছেন। এছাড়া তার বোন তাহমিনা রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই দুই নেতা। তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান যথাক্রমে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এরআগে শোভন ও রাব্বানী দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। আর কমিটি ঘোষণার পরপরই পদ পাওয়া কিছু নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে অন্যরা। এছাড়াও সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের বঞ্চিত ও পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

পরে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জয়-লেখক কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ১১ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন সময় আরও চারটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ৩৭টি পদ শূন্য হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত