সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০৫

কুমিল্লায় বিএনপির ঝটিকা মিছিলে রিজভী

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দ্বাদশ দফায় এই অবরোধ কর্মসূচি রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

এর আগের দফাগুলোতে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার বাইরে রাজশাহীতে মিছিল করেছেন দলটির এই নেতা।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক চান্দিনা গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১২ তম ডাকা দিনব্যাপী অবরোধ সমর্থনে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুটে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লুটেরা সরকার। এখন সেই লুটের টাকা ডামি ভোটে ঢালছে তারা। আজকে দেশের অর্থনীতির কী করুণ পরিণতি!’

একতরফা ডামি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নিজেরা-নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছে। আর এসবের দোষ চাপানো হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর ওপর। যা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস।’

রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক কোনও লাভ হবে না। তাদের ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে। শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয় গণতান্ত্রিক বিশ্ব আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। বিএনপির চলমান অসহযোগ আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিয়ে বলছেন— আওয়ামী লীগ আর না, ডামি নির্বাচনে ভোট দেবো না।’

এ সময় রিজভী দেশের জনগণ, ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের কাছে ভোট বর্জন ও এবং ভোট বর্জনে অন্যকে উৎসাহিত করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সকাল থেকে ৩৬ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচির পর বিএনপি আর কোনও অবরোধ দেয়নি। তবে এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় র‍্যালি ও ১৯ ডিসেম্বর হরতাল পালন করে দলটি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত