জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানিয়ে নিজেকে দলটির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের দ্বন্দ্ব ও পদত্যাগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রোববার মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

রাজধানীর বাসভবনে দলটির বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত, স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী নেতা-কর্মী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, বিগত দিনে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ব্যর্থতা পর্যালোচনা করে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টিতে এখন ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। দ্বাদশ (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনের পূর্বে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বক্তব্য, বিবৃতি এবং দ্বাদশ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

‘জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করা হয়। ২৬টি আসনের মধ্যে সমঝোতা করা হয় এবং আসন সমঝোতার পরেও জনসম্মুখে অস্বীকার করে দেশবাসী ও পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিটাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।’

দলের নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, ‘…গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পল্লীবন্ধুর ৬৬৮ জন নেতা-কর্মী পার্টি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় বিরাট সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় উল্লিখিত সংকট নিরসনে পার্টির নেতা-কর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রে ২০ (১) ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম।

‘নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত কাজী মো. মামুনুর রশীদকে মহাসচিবের দায়িত্ব প্রদান করলাম।’