সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০১৬ ২৩:৪৬

ভাসানীকে বাদ দিয়ে ইতিহাস নির্মাণ করা সম্ভব নয়

বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিধা ভোগী তথা কথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজের স্বার্থ হাছিলের লক্ষে ইতিহাস বিকৃতি করছে বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়েই ইতিহাস নির্মাণ করতে চাচ্ছেন। এই সকল জ্ঞান পাপিরাই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিভক্ত করে রাখতে চান। আর এ কারণেই স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও আমরা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে “মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস স্মরণে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণ সভায় নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মো. কামাল ভুঁইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনছার রহমান শিকদার, মির্জা শেলী, নির্বাহী সদস্য মো. বেলাল হোসেন, সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, জিল্লুর রহমান পলাশ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোন ইতিহাস নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ৪৭-এ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ৪৯-এ আওয়ামী মুসলিম লীগ তথা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৭ কাগমারী সম্মেলনে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে প্রথম স্বাধীনতার মন্ত্র উচ্চারণ, ৬৯ গণআন্দোলন, ৭০ নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার এক দফা ঘোষণা, স্বাধীনতা পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ৭৬সালে ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বীজ বপন কোথায় নেই মওলানা ভাসানী ? আজ তাকে বাদ দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতীয়তাবাদের কথা বলে মুখে ফেনা তোলেন তারা মূলত: আত্ম প্রবঞ্চক। ইতিহাসের গতিধারায়ই মওলানা ভাসানী টিকে থাকবেন।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেন, শাসকদল আওয়ামী লীগ যেমন মওলানা ভাসানীকে তারা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে তেমনই তাঁর নাম ব্যবহারকারীরাও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলেও তাঁকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রক্রিয়া কখনো সফল হবে না।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদ
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র উদ্যোগে যাদু মিয়া মিলনায়তনে মজলুম জননেতার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর, ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ, বিপ্লবী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপ, বাংলাদেশ যুব ন্যাপ, বাংলাদেশ মহিলা ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত