ডেস্ক রিপোর্ট

১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১৫:১৪

মওলানা ভাসানী স্মরণে ন্যাপ’র স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

আমাদের জাতীয় রাজনীতির অহংকার মওলানা ভাসানী নির্যাতিত-নিপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে কঠোর সংগ্রামের মধ্যদিয়েই অতিক্রম করেছেন সারাটা জীবন। তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভায় অভিমত প্রকাশ করেছেন জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেছেন, ১৯৪৭ পূর্বে বৃটিশ বিরোধী আযাজি আন্দোলন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার অধিকার আদায়, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন, ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরোধী লংমার্চে নেতৃত্ব দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। আমৃত্যু তিনি সা¤্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াই আর সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পল্টনস্থ ফটোর্জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভায় ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি‘র যুব বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাপ মহাসচিব এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, কল্যাণ পার্টি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম.এম.আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামিম, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, নোয়াখালি জেলা ন্যাপ সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।

শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের মানবতাবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রাজনীতির মাধ্যদিয়ে বিদ্রোহের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন মওলানা ভাসানী। তিনি স্পষ্টত বলতেন উৎপীড়িতের কান্না না থামা পর্যন্ত, সা¤্রাজ্যবাদী ও লুটেরা শক্তি অত্যাচারী স্তব্ধ না হওয়া অবধি তার সংগ্রাম চলবে।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, মওলানা ভাসানী রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাননি বটে, তবে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের অনুঘটক ছিলেন। আজ মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু, ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মওলানা ভাসানী দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আপোষহীন রাজনীতি ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো অত্যাচারী শাসকশ্রেণির, স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিলো সাধারণ মানুষকে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষকেই অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রাম করেছেন আজীবন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, রাজনীতি আর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তোলেন যিনি, তিনিই ভাসানী। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবলপ্রাণ বিদ্রোহীর নাম মওলানা ভাসানী। মানবতার তূর্যবাদক এক সেনানির নাম ভাসানী। স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য দেশবাসীকে জাগিয়েছেন যিনি, মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন যিনি আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি-তিনিই ভাসানী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত