সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ মার্চ, ২০১৬ ১২:৩৯

সিনিয়র নেতাদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বেফাঁস মন্তব্য করা নিয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

গতকাল রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যের পর তিনি এ সর্তকবার্তা দেন। 

এ সময় তিনি বলেন,তিনি বলেছেন, দলের সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রীরা বিতর্কিত মন্তব্য করলে দল ও সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই দায়িত্বশীল পদে থেকে বিতর্কিত কোনো কথা বলা যাবে না। 

প্রথমে তোপের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন। সদ্য বিদায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া এবং একটি দৈনিক পত্রিকায় কলাম লেখা নিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়।

এ সময় লেনিন বলেন, ভবিষতে এ ধরনের লেখা বা মন্তব্য করবেন না। 

মন্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাপারে প্রথম ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। 

তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত হওয়ার আগেই কাউকে দোষী বলে অভিযোগ করা ঠিক নয়। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্য দিয়ে ক্রাইসিস সৃষ্টি করছেন। কেউ কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে কাঠগড়ায়ও দাঁড়াচ্ছেন। এতে করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বিরোধী দলের কাছে ইস্যু চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’ এ সময় সবাই তার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।

সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমানকে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা মনে করেন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে শুধু গর্ভনরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়াটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে না। 

এ প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বৈঠকে বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে আমাদের আরও সংযত হয়ে কথা বলা উচিত। সব বিষয়ে সকলে কথা বললে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

এরপর শেখ হাসিনা সবাইকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দলের সিনিয়র নেতারা এমন বেফাঁস মন্তব্য করলে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বৈঠকে কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট,  চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, লক্ষ্মীপুরসহ ৯টি জেলা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। 

এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। আগামী ১০ ও ১১ জুলাই কাউন্সিলের নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় কাউন্সিলের আগে রাজধানীতে আরো কয়েকটি সেমিনার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ,  জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত