আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হত্যা, নির্যাতন, নাশকতা ও সহিংসতা বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকার দেশের কাঠামোগুলোকে একে এক ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আজ রাজনৈতিক কাঠামো ব্যবস্থা নেই বলেই চলে তাই রাজনৈতিক কাঠামো ব্যবস্থার পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় দেশে বর্গি এসেছে। তারা দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পুরানো পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে ২৩ মার্চ পতাকা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে যুব জাগপা।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে। সহিংসতায় ১২ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন। এসব জায়গায় প্রশাসন ছিল নীরব। অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্ন আসে দেশে সরকার আছে কিনা? রাস্তায় পুলিশ ও ভোটের মাঠে প্রশাসন কার পক্ষ নিয়েছে দেখলে মনে হয় না দেশে সরকার আছে।
 
তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনের আগে পৌরসভা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও একই কায়দায় দখল করে নিয়েছে সরকার। এর আগে জাতীয় নির্বাচনে তারা একটি ভোটার বিহীন নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছে যা দেশ-বিদেশে কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
 
একনায়কতন্ত্রের বাধা সড়াতে হবে এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সংগ্রাম করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নতুন দিগন্তের সূচনায় ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। একনায়কতন্ত্রের বাধা সড়াতে জাতীয় ঐক্যর বিকল্প নেই। আর জাতীয় ঐক্য গঠন করতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করতে হবে।
 
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার হয়ে ৪৫ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছি। মানুষ যে আশা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার কতটুকু পূরণ হয়েছে তার হিসেব করার সময় এসেছে। শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থার জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। আসলে কি  দেশ শোষণ মুক্ত হয়েছে?
 
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফায়জুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড.ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তাফা জামাল হায়দার প্রমুখ।