সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:৫৯

বিএনপির মুখপাত্রের মত কথা বলেছেন সিইসি: যুবলীগ চেয়ারম্যান

বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠিত সংলাপে সিইসি কে এম নূরুল হুদা দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা এবং বিএনপির শাসনামলের প্রশংসা করায় সমালোচনা করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। বলেছেন, বিএনপির মুখপাত্রের মত কথা বলে সিইসির নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

সোমবার যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। বিবৃতিতে অবিলম্বে তিনি সিইসির বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জিয়া যদি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা (পুনঃপ্রবর্তক) হন, তাহলে জাতির পিতা কি গণতন্ত্রের হত্যাকারী? মি. হুদার মতে গণতন্ত্রের ঘাতক কে ছিলেন?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিইসি নূরুল হুদা হয়ত বিএনপিকে খুশি করতে ওই প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় করেছে, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। র‌্যাব, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইন কমিশন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা ৩০ বছর করেছে। এসব তাঁর বলার অর্থ কী?

এতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিশ্চিতভাবেই বিএনপিকে খুশি করতে এবং বিএনপির ‘আস্থা’ অর্জনের জন্য এমন অযাচিত, অপ্রাসঙ্গিক স্তুতি করেছেন। কিন্তু এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু মিথ্যাচার করেননি, ইতিহাস বিকৃতি এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো দলকে তৈলমর্দন জরুরি নয়। সিইসি যেসব বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে মোটেও সম্পর্কিত নয়।

ওমর ফারুক বলেন, “বাংলাদেশের সংস্কৃতি হল, নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য হয় আওয়ামী লীগকে গালি দিতে হবে অথবা বিএনপিকে প্রশংসা করতে হবে।

“এক শ্রেণির সুশীল ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্টের পর জাতির ওপর এই ভারসাম্য তত্ত্বের ভূত চাপিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে বাংলাদেশ একটি সহনীয় অবস্থার দিকে এসেছে।”

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে একরকম ভূতে পেয়েছিল। এজন্য তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কারও একক নেতৃত্বে হয়নি।

“এবার ভূতে পেয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে। এজন্য তিনি জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলেছেন। এছাড়াও সূচনা বক্তব্যে তিনি বিএনপিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।”

‘বিএনপির মুখপাত্রের মতো’ কথা বলে সিইসি তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বলে মন্তব্য করেন ওমর ফারুক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত