নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:৪৪

যুবলীগের দায়িত্ব নিতে চাইলেও গণভবনে যাচ্ছেন না ড. মীজানুর

সংগঠনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও যুবলীগের সম্মেলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাদের বৈঠকে গণভবনে যাচ্ছেন না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর মীজানুর রহমান।

বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে যুবলীগের দায়িত্ব পেলে উপাচার্যের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকাবস্থায় সংগঠনটির কোন কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকার ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত তার।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যেও নিজের মন্তব্য থেকে সরে আসেননি উপাচার্য মীজানুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর সহসভাপতি হিসেবে তার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার কথা।

জাতীয় সম্মেলনকে (কংগ্রেস) সামনে রেখে রোববার (২০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যুবলীগ নেতাদের ডাকা হয়েছে। এই সাক্ষাতে যুবলীগকে নেতৃত্ব দেবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

সম্প্রতি যুবলীগের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর থেকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জিকে শামীমসহ অনেকেই। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্পৃক্ততাও বেরিয়ে আসে। ইতোমধ্যে ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করা ছাড়াও তার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপর থেকেই আড়ালে চলে যান ওমর ফারুক। জাতীয় কংগ্রেসকে সামনে রেখে সংগঠনটির চেয়ারম্যানকে গণভবনে ডাকেননি শেখ হাসিনাও।

আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দায়িত্ব নিতে চাওয়া ডক্টর মীজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে আমি যুবলীগের এক নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য বা ১ নম্বর সহসভাপতি। উপাচার্য হওয়ার পর আমি আমার পদ থেকে পদত্যাগ করিনি বা আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। পদাধিকারবলে এখন আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া কথা’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক মীজানুর রহমানের যুবলীগে সম্পৃক্ত আছেন অনেক দিন ধরে। ষাটোর্ধ এ অধ্যাপক বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ২০১৩ সালে জগন্নাথের উপাচার্য হওয়ার পরে আর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ‘এখন যদি আমাকে যুবলীগের চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয় তাহলে আমি উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়ে দেব। যুবলীগ আমার একটি প্রিয় সংগঠন। বর্তমানে যুবলীগের অনেক দুর্নাম রয়েছে। প্রিয় সংগঠনের দুর্নাম দূর করার জন্য যদি আমাকে স্যাক্রিফাইস করা লাগে তাহলে আমি তাই করব’।

তিনি বলেন, ‘আমি উপাচার্য হওয়ার পরে যুবলীগের কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করিনি। রোববার গণভবনের যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মিটিং রয়েছে সেখানেও অংশগ্রহণ করব না’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত