সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:১০

মেনন-বাদশার নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টির ৯১ সদস্যের কমিটি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসে রাশেদ খান মেননকে সভাপতি, ফজলে হোসেন বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের পলিটব্যুরো ঘোষিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে কংগ্রেসের শেষ দিন পার্টির নেতৃত্ব আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব পাস হয়। এতে ৬২ জনকে কেন্দ্রীয় সদস্য ও ২৮ জনকে বিকল্প সদস্য করে ৯১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। এ ছাড়াও শেখ সাইদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কন্ট্রোল কমিশন ঘোষণা করা হয়।

২ নভেম্বর সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১০ম কংগ্রেসের উদ্বোধন হয়। ৫৭টি সাংগঠনিক জেলার ৫৭২ জন প্রতিনিধি এবং ৭৯ জন পর্যবেক্ষক সমন্বয়ে ৬৫১ জনের উপস্থিতিতে ৪ দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশন চলে।

ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশে নিয়োজিত চীনা মিনিস্টার অব কাউন্সিল, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনামের সেকেন্ড সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়া ফেডারেশেনের কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়াসহ ৫৭টি কমিউনিস্ট ও সোসালিস্ট পার্টি ১০ম কংগ্রেসের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায়।

ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস অধিবেশনের ৩ দিনের সেশনে মোট ৮টি প্রস্তাব পাশ হয়। বিশেষভাবে বৈষম্য ও দারিদ্র্য প্রসঙ্গে, নারীর প্রাণ সহিংসতা, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অবস্থান, উন্নয়নের সুফল নস্যাতে দুর্নীতি, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, কাজের নিশ্চয়তা, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, তিস্তা প্রসঙ্গে ইত্যাদি রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহিত হয়।

এ ছাড়াও বিশেষভাবে ২০২১ সালে ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন’ এবং ২০২০ সালে মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মহান জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

কংগ্রেসে জোট সম্পর্কে বলা হয়, ১৪ দল কেবল কেন্দ্রে কার্যকর থাকলেও তৃণমূলে কার্যকর নেই। কংগ্রেসে ১৪ দলকে তৃণমূলে কার্যকরি করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি দুর্নীতি, বৈষম্য, মাদক, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইসহ কংগ্রেসে গৃহিত প্রস্তাবসমূহের ভিত্তিতে নিজস্ব শক্তি বিকাশের আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, রাশেদ খান মেনন ২০০০ সাল থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি পদে রয়েছেন। এবার সভাপতি হওয়ায় সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে ১৯৯২ সালে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টি এক হওয়ার পর অমল সেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মেনন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদেই ছিলেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির ৯১ সদস্যর কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন -

১৫ সদস্যবিশিষ্ট পলিটব্যুরো
১. রাশেদ খান মেনন
২. ফজলে হোসেন বাদশা
৩. আনিসুর রহমান মল্লিক
৪. ড. সুশান্ত কুমার দাস
৫. মাহমুদুল হাসান মানিক
৬. নুর আহমদ বকুল
৭. কামরূল আহসান
৮. হাজেরা সুলতানা
৯. আমিনুল ইসলাম গোলাপ
১০. অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ
১১. জ্যোতি শংকর ঝন্টু
১২. হাজী বশিরুল আলম
১৩. নজরুল ইসলাম হক্কানী
১৪. আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান
১৫. নজরুল হক নিলু

কেন্দ্রীয় কমিটি
১৬. তপন দত্ত চৌধুরী
১৭. করম আলী
১৮. অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান
১৯. সালেহা সুলতানা
২০. নজরুল ইসলাম
২১. অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম
২২. শেখ সিরাজুল ইসলাম
২৩. লিয়াকত আলী লিকু
২৪. শরীফ শামশির
২৫. মোসাদ্দেক হোসেন লাবু
২৬. রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল
২৭. অ্যাডভোকেট আবু হানিফ
২৮. রফিকুল ইসলাম
২৯. সিকান্দর আলী
৩০. হবিবর রহমান
৩১. অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ
৩২. দীপংকর সাহা দিপু
৩৩. আনোয়ারুল হক বাবলু
৩৪. আবু সাঈদ মিয়া
৩৫. আবদুল খালেক
৩৬. মজিবর রহমান
৩৭. অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান
৩৮. অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল
৩৯. পাভেল ইসলাম
৪০. আমিরুল হক আমিন
৪১. রেজাউল করিম রেজা
৪২. আব্দুল মজিদ
৪৩. অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু
৪৪. অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম
৪৫. অ্যাডভোকেট জোবাইদা পারভিন
৪৬. জাকির হোসেন রাজু
৪৭. ইন্দ্রানী সেন শম্পা
৪৮. সাব্বাহ আলী খান কলিন্স
৪৯. মিজানুর রহমান
৫০. অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী
৫১. আবিদুর রহমান কাবুল
৫২. হিমাংশু সাহা
৫৩. অ্যাডভোকেট আকসির এম চৌধুরী
৫৪. আবুল হোসাইন
৫৫. মোস্তফা আলমগীর রতন
৫৬. রবিন সরেন
৫৭. আব্দুল মাবুদ
৫৮. আনসার মোল্লা
৫৯. সাব্বির হোসেন
৬০. অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান
৬১. দেবাশীস প্রমাণিক দেবু
৬২. মহিবুল্লাহ মোড়ল

কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য
১. সদরুল ইসলাম
২. মহিউদ্দিন আহমদ
৩. মফিদুল ইসলাম
৪. জাকির হোসেন
৫. (ঝিনাইদহ) সংরক্ষিত
৬ (বগুড়া) সংরক্ষিত
৭. অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন
৮ (ঠাকুরগাঁও) সংরক্ষিত
৯. অশোক সরকার
১০. (গাইবান্ধা) সংরক্ষিত
১১. রুহুল আলম মাস্টার
১২. তপন কুমার রায়
১৩. শরীফ চৌহান
১৪. হাফিজ সরকার
১৫. অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু
১৬. আজহার আলী
১৭. আশরাফুল হক তোতা
১৮. কিশোর রায়
১৯. শাহানা ফেরদৌসী লাকী
২০. মুর্শিদা আখতার নাহার
২১. দিল আফরোজ খানম
২২. গোলাম নওজব চৌধুরী
২৩. তালুকদার মো. শাহজাহান
২৪. মো. সবদুল হোসেন খান
২৫. বেনজির আহমেদ
২৬. কাজী মাহমুদুল হক সেনা
২৭. ফরিদা আফরোজ চৌধুরী
২৮. মুতাসিম বিল্লাহ সানী
২৯ কেন্দ্রীয় কমিটিতে পরবর্তীতে ১জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন।

কন্ট্রোল কমিশন
১ .শেখ সাইদুর রহমান চেয়ারম্যান
২. আব্দুল হক সদস্য
৩. বিশ্বজিৎ বাড়ৈ সদস্য

আপনার মন্তব্য

আলোচিত