সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২০ মে, ২০২০ ২০:০৫

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতীকী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতীকী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২০ মে) দুপুর ২টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাগান প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতীকী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এই দিবস উপলক্ষে সকালে বিভিন্ন বাগানে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চা শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট জেলা সহসভাপতি ময়না কর্মকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাসদ জেলা সমন্বয়ক ও ফেডারেশনের উপদেষ্টা আবু জাফর, ফেডারেশনের উপদেষ্টা প্রণব জ্যোতি পাল, চা শ্রমিক ফেডারেশনের সন্দীপ রঞ্জন নায়েক, রত্না বসাক, নিপা মোদি, মনি দাশ, বিজয় মোদি প্রমুখ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার দুর্যোগকালেও চা-শ্রমিকরা বাগানে বাগানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে চা-শ্রমিকদের করোনা সুরক্ষা, পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। সকল বাগানে স্বাস্থ্যবিধি প্রটোকল মেনে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। শ্রমিকদের করোনায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসার দায়িত্ব বাগান মালিক এবং সরকারকে নিতে হবে। করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে দ্রব্যমূল্য, পে-কমিশন এবং জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের ২০১৫ সালের সুপারিশ বিবেচনা করে চা-শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৪০০ টাকা দিতে হবে। রেশন হিসেবে সপ্তাহে শ্রমিক প্রতি ৫ কেজি এবং নির্ভরশীল প্রতিজনে ৩ কেজি চাল ও প্রতিমাসে ২ কেজি চা পাতা দিতে হবে। নিরিখের অতিরিক্ত কাঁচাপাতার উৎপাদন এবং ছুটির দিনে কাজ করার জন্য দ্বিগুণ হারে মজুরি দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আর বলেন, প্রতিটি বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পর্যাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ, চা-শ্রমিক সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা ও শিক্ষা ভাতার ব্যবস্থা করা, প্রতি বাগানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণ, ডাক্তার ও ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বাগানের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে চিকিৎসা ব্যয় মালিককে বহন করতে হবে। চাষাবাদের জন্য প্রদত্ত জমির বিপরীতে সরকার নির্ধারিত ভূমিকরের অতিরিক্ত রেশন কাটা যাবে না। স্বাস্থ্য সম্মত বাসস্থান (ন্যূনতম ৮ * ২২ বর্গফুটের ঘর), ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয়জল ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনা মহামারীর কারণে এবছরে পরিবর্তে ২০২১ সালের ২০মে চা শ্রমিক দিবসের শতবর্ষ ব্যাপক আয়োজনে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত