ডেস্ক রিপোর্ট

১০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:২৮

মদন মোহন কলেজকে সরকারীকরণের দাবী

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মদন মোহন কলেজ শাখা মদন মোহন কলেজকে সরকারি করার দাবিতে মিছিল সমাবেশ এবং অধ্যক্ষের বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে।

আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি) কর্মসুচি পালন করা হয়।

মিছিল সিলেট কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে জিন্দাবাজার, লামাবাজার হয়ে রিকাবিবাজারে দিয়ে সমাবেশ করে।

মিছিল পরবর্তিতে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মদন মোহন কলেজ শাখার আহবায়ক লিপন আহমেদ, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ শাখার সদস্য পলাশ কান্ত দাশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৃহত্তর সিলেট অ লের মানুষের আশা আকাঙ্খার অন্যতম প্রতীক হচ্ছে মদন মোহন কলেজ। পরাধীন ভারতবর্ষে শিক্ষা বিস্তারের আকুলতা নিয়ে মোহিনী মোহন দাশ ও যোগেন্দ্র মোহন দাশ ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মদন মোহন কলেজ। তৎকালে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ যেন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই উদ্দেশ্য থেকেই মদন মোহন কলেজের প্রতিষ্ঠা। অথচ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে পদার্পন করার পরেও সিলেট বিভাগের অন্যতম বিদ্যাপীঠ এখনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে কলেজ পরিচালনার জন্যে দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে ছাত্র বেতন, যা সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের সন্তানদের শিক্ষার দ্বার ক্রমশ সংকুচিত করছে। তাই সাধারণ মানুষের আকাঙ্খার পরিপূরক হিসেবে এ কলেজকে সরকারিকরণের কোন বিকল্প নেই।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা ২০০৭ সাল থেকে কলেজকে সরকারিকরণের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল-সমাবেশ, ছাত্রদের স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি পেশসহ ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কলেজকে সরকারিকরণের কার্যকর কোন উদ্যোগ দেখিনি।

প্রশ্ন উঠতে পারে একই জায়গায় কয়টা সরকারি কলেজ প্রয়োজন? একটু ভেবে দেখলে বুঝা যাবে, ক্রমবর্ধমান হারে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী বাড়ছে তাতে আরোও মানসম্মত সরকারি কলেজ প্রয়োজন আছে কি না। ফলে কতটা প্রতিষ্ঠান আছে তার চাইতে কতটুকু প্রয়োজন সেটাই বিবেচ্য বিষয়। অনেকে বলেন, এই কলেজে যারা শিক্ষকতা পেশায় আছেন কলেজ সরকারি হলে তারা চাকরিচ্যুত হবেন। কিন্তু আমরা মনে করি, এই কলেজে অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক আছেন যারা যেকোন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের চাইতে দক্ষতায় কোন অংশে কম নয়। অন্যান্য শিক্ষক যারা আছেন অবশ্যই চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং সবার জন্য উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বক্তারা বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমার চাকরী থাকলো কি থাকলো না তা দিয়ে তো ছাত্রদের ভবিষ্যত নির্ধারিত হতে পারেনা। ফলে নৈতিক দিক থেকে এর সাথে কারো বিরোধ করার কিছু নেই। স্মাারকলিপি গ্রহন করেন মদন মোহন কলেজের ড.অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত