সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২৫ আগস্ট, ২০১৭ ১৮:২৭

সিলেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা

মানুষকে সুন্দর মনের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদভিত্তিক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু করে সত্যিকার ইসলামের শিক্ষার প্রচার এবং প্রসারে অবদান রাখছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে যে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ভূমিকা রেখেছেন, মানুষকে তা মুক্তি, কল্যাণ এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়ে দিয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়-এর উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

শুক্রবার রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়-এর পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর আলহাজ্  মাওলানা মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক এমপি এবং সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ শফিকুর রহমান চৌধুরী।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুস্তাফিজ রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী শফিকুর রহমান এবং নাতে রাসুল পেশ করেন আবুল বাশার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মামুনুর রশীদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সার্বিক কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। সত্যিকার ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবদান সবার কাছে তুলে ধরেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেশের জন্য সুযোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সিলেটে বিভাগের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আলেম সমাজ সম্মানের স্থলে অধিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা ইসলামী শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আলেম সমাজকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ইসলামের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আলেম সমাজকে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। বঙ্গবন্ধুকে তারাই হত্যা করেছেন যারা পাকিস্তান আমলে বাঙালীর স্বার্থ ছেড়ে পশ্চিম পাকিস্তানের স্বার্থে কাজ করেছেন। ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে প্রতিটি প্রাইমারী স্কুলে ধমীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এতে অনেক কওমী এবং আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।  এছাড়া দারুল আরকাম নামে যে মাদরাসা প্রজেক্ট চালু হচ্ছে তা ইসলামী শিক্ষার প্রচার এবং প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। ইসলামের নামে যারা ইসলামের বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত, আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণে কাজ করছে আওয়ামীলীগ সরকার। দাওরায়ে হাদীসকে মাস্টার্সের সম্মান প্রদান করা তার দৃষ্টান্ত।  আওয়ামীলীগ সরকার ৮০০০০ আলেমের বেতনভাতা বৃদ্ধি করেছেন। আলেম সমাজকে সত্যিকার দ্বীনের দাওয়াত জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর ইলম অর্জনের পাশাপাশি এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষকে সত্যিকার সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত