স্পোর্টস ডেস্ক

২০ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:০৫

১০৮ রানে থামলো বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৮ রান। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার সাইফ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ হতেই স্ট্রাইক প্রান্তে যান সাইফ হাসান। আর প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন সাইফ। পরের ওভারে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। সাইফ কোনো রান করতে না পারলেও নাঈম রানের খাতায় যোগ হয় একটি রান। এতেই ৫ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।

দুই উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক চাপে পড়ে। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টায় তখন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আফিফ হোসেন।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে আসেন আফ্রিদি। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে পিক আপ শটে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে দুর্দান্ত এক ছক্কা হাঁকান আফিফ। এতে খানিকটা ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই পাকিস্তানি বোলার। আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে পরের বল ফুলার লেংথে করেন আফ্রিদি। বলটি নিজের ক্রিজের ভেতর দাঁড়িয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে মোকাবিলা করেন আফিফ। বলটি ছুটে আসে বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে। সেই বল কুঁড়িয়েই স্টাম ঢেকে থাকা আফিফের পায়ে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ছুঁড়ে মারেন আফ্রিদি। আঘাত পেয়ে মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ব্যাটার আফিফ হোসেন।

আফিফ ওই বলে রুখে দিয়ে রান নেওয়ার চেষ্টাও করেননি, ছিলেন নিজের ক্রিজে দাঁড়িয়েই। এমনকি তিনি তাকাননি বোলারের দিকেও। উইকেটের পেছনের দিকে যখন তাকিয়ে ছিলেন আফিফ ঠিক সেই সময়ই শাহিন শাহ আফ্রিদি আফিফের পায়ে বল মারেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন টাইগার এই ব্যাটার। আফিফকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষমা চান শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপর কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পরে আফিফ শুশ্রূষা নিয়ে আবারও ব্যাট করতে শুরু করেন।

তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের আশা দেখান। তবে ৯ম ওভারের প্রথম বলে আফিফ রিভার্স সুইপ করতে গেলে ব্যাটের মাথায় লেগে ক্যাচ উঠলে তা সহজেই ধরে ফেলেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন আফিফ।

এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৯ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যক্তিগত ১২ রান করে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। এতে আবারও চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। বাকিরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও উইকেটের এক প্রান্তে খুটি গেড়েছিলেন শান্ত। তবে অধিনায়ক ফেরার পরের ওভারে ৪০ রান করে তিনি বোলার শাদাব খানের হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। এতেই ৮২ রানে ৫ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে ২০ বলে ৩০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলা মাহেদি হাসানের ওপর এদিনও ছিল আশা। তবে আজ পারলেন না ৩ রানের বেশি করতে। মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে মাহেদি ৮ বলে ৩ রান করেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় থমকে থাকে রানের গতিও। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান আকড়ে রাখেন উইকেটের এক প্রান্ত। তবে রানের চাকার গতি বাড়াতে পারেননি তিনি। দলীয় রান শতক পেরোতেই নুরুল হাসান সোহান ১১ রান করে ফেরেন। এরপর তাসকিন ২ এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

আর এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১০৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আফিফ হোসেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১২।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন শাদাব খান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত