সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৭

পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

শেষ মুহূর্তে রোমাঞ্চ জাগিয়েও শেষটা রাঙাতে পারল না লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। টানা অষ্টম ম্যাচ হারের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্লিন সুইপ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

স্বাগতিকদের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলির ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৫ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারী পাকিস্তান।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের কল্যাণে প্রথম উইকেট জুটিতে ৩২ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।

ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব প্রথম আঘাত হানেন পাক শিবিরে। ২৫ বলে ১৯ করা বাবর আজমকে ফেরান এই লেগি।

এরপর দলকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে নামেন রিজওয়ান। সঙ্গে নেন হায়দার আলিকে। ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে।

১৬তম ওভারের প্রথম বলে ৪০ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে শহিদুল ইসলাম শিকার করেন অভিষেক উইকেট।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের যখন আট রান দরকার, তখন নাটক জমিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ। অল্পতে ফিরতে হয় সারফ্রাজকেও। পরের বলে রিয়াদ শিকার করেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা হায়দার আলিকে। এক বল বাদে সাজঘরের পথ ধরেন ইফতেখার।

তিন উইকেট তুলে ম্যাচ শেষ বলে নিয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। শেষ বলে জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার হয় দুই রান।

শেষ বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন আরও একবার ভাঙেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দলকে ৫ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় এনে দেন।

বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ১০ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। শহীদুল ও আমিনুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে অধরা জয়ের মিশনে শেরে বাংলায় টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতো শুরুতেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত শাহনাওয়াজ দাহানির দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে স্টাম্প হারিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

মাঠ ছাড়ার আগে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন পাঁচ রান।

এরপর নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন শামীম পাটোয়ারী। ৩০ রানের জুটি গড়ে ২২ বলে ২৩ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

তবে উইকেটে অবিচল থেকে রানের গতি বাড়াতে থাকেন নাঈম। এ সময় তাকে সঙ্গ দেন আফিফ হোসেন। দুজনের মারমুখী ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে হাঁটছিল বাংলাদেশ।

দলীয় ৮০ রানে ২০ রান করে উসমান কাদিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আফিফ। ফলে ভাঙে সেই জুটি। সঙ্গী হারালেও বিচলিত না হয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন নাঈম।

ব্যক্তিগত ৪৭ রানে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা এই ব্যাটসম্যান ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের তালুবন্দি হয়ে।

বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন রিয়াদও। ১৩ রানে তাকে থামতে হয় হারিস রাউফের শিকার হয়ে।

শেষতক নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের খরচায় ১২৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও উসমান কাদির। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন শাহনাওয়াজ দাহানি ও হারিস রাউফ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত