স্পোর্টস ডেস্ক

০৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৫৭

কনওয়ে-লাথামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হতাশার দিন

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা হতাশায় কাটিয়েছে টাইগার বাহিনী। এক উইকেট হারালেও স্কোর বোর্ডে ৩৪৯ রান তুলেছে কিউই শিবির। স্বাগতিকদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন টম লাথাম। সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে রয়েছেন ডেভন কনওয়ে।

টাইগার পেসারদের ওপর রীতিমতো ঝড় তুলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। টম লাথাম প্রথম দিন শেষে দ্বিশতকের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২৭৮ বলে ২৮ চারে তিনি করেছেন ১৮৬ রান। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার অপেক্ষায় দিন শেষ করেছেন কনওয়ে, শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে তিনি যোগ করেছেন ৯৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন প্রথম টেস্টের নায়ক এবাদত হোসেন। ২১ ওভারে ৫.৪০ ইকোনমিতে তিনি দিয়েছেন ১১৪ রান।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের সবুজ উইকেটের ফায়দা নিতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। চা বিরতির আগে এক উইকেটে নিউজিল্যান্ড পেরোয় দুইশ’র (২০২) ঘর। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লাথাম। শতক হাঁকাতে তিনি ১৩৩ বলে খেলেছেন ১৭টি চারের মার। যদিও সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকাবস্থায় টাইগার পেসার শরিফুল কিউই অধিনায়ককে তুলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

শরিফুলের বাউন্সার ঠিকমতো খেলতে পারেননি লাথাম। যে কারণে বল ব্যাটে লেগে অনেকটা ওপরে উঠে যায়। বাংলাদেশি ফিল্ডাররা দৌড়ে গিয়েও তার নাগাল পায়নি। কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছেন সেই শরিফুলই। কিউই ওপেনার উইল ইয়ংকে শিকারে পরিণত করেন তিনি। ইয়ং আউট হয়েছেন ৫৪ রান করে। ১১৪ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার।

টাইগারদের বিপক্ষে বিনা উইকেটে প্রায় দেড়শ ছুঁইছুঁই স্কোর করে কিউই শিবির। প্রথম উইকেট হারানোর আগে নিউজিল্যান্ড করে ১৪৮ রান। এক উইকেট পেলেও প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের ছিল না তেমন কোনো ভয় ধরানো স্পেল। প্রথম টেস্টের জয়ের নায়ক এবাদতের কয়েকটি ওভার বাদ দিলে বেশ খরুচেই ছিলেন তিনি। মধ্যাহ্নবিরতির আগে ১০ ওভারে ৩৩ রান দেন তাসকিন, ৯ ওভারে ২৭ রান শরিফুল আর ৬ ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন এবাদত হোসেন।

অবশ্য বল হাতে নিয়েই টাইগারদের সফলতা এনে দিয়েছিলেন এবাদত। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে টম লাথামকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান কিউই অধিনায়ক। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও আঘাত হানেন এবাদত। এবারও তার শিকার লাথাম। এবারও রিভিউতে রক্ষা পান কিউই অধিনায়ক। জীবন পেয়েই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন কিউই অধিনায়ক। ওয়ানডে মেজাজে খেলে মাত্র ৬৫ বলেই পূর্ণ করেন নিজের অর্ধশতক। অন্যদিকে দেখে শুনে খেলছেন উইল ইয়ং। মধ্যাহ্নবিরতি পর্যন্ত ৮৩ বলে ৬৬ রান করেছিলেন লাথাম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত