নিজস্ব প্রতিবেদক:

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৬

বড় রান করেও ছোট ছোট ভুলে এশিয়া কাপ শেষ বাংলাদেশের

কুশল মেন্ডিসকে জীবন দান, ৮ ওয়াইড, ৪ নো বল ও অগোছালো ডেথ ওভারে বোলিংয়ের মাশুলটা বেশ বাজেভাবেই দিতে হল বাংলাদেশকে।

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হল নতুন মোড়কে মোড়ানো পুরোনো বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের দেয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় শ্রীলঙ্কা। একইসঙ্গে নিশ্চিত করে সুপার ফোর।

শেষ ২ ওভারে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৫ রান। হাতে ৩ উইকেট। তখনও ম্যাচে বাংলাদেশের পাল্লা ভারী।

কিন্তু ১৯তম ওভারে এক ওয়াইড ও এক নো বল করে ম্যাচ শ্রীলঙ্কার দিকে ঠেলে দিলেন পেইসার এবাদত হোসেন। তার করা নো বলের ফ্রি-হিট থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি।

ফলে ১৭ রান দিয়ে শেষ করেন নিজের শেষ ওভারে। অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেট নিলেও বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে এবাদত গড়েছেন সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল লঙ্কানদের। কিন্তু সে ওভারেও নো বল করেন মাহেদী হাসান। শেষ দুই ওভার যেন বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসেরই প্রতিচ্ছবি।

মোট ১২টি নো-ওয়াইড করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ দুই ওভার অতিরিক্ত বল করতে হয়েছে তাদের। স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি হিসেবে শেষ ওভারে বৃত্তের ভেতর ৫ ফিল্ডার নিয়ে বল করতে হয়েছে সাকিবকে।

অথচ ১৮৩ রান ডিফেন্ড করার শুরুটা দারুনভাবে করে বাংলাদেশ। রান পাহাড় তাড়ার মিশনে মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে ফেরান এবাদত হোসেন। একই ওভারের শেষ বলে চারিথ আশালাঙ্কাকে ১ রানে ফেরান টাইগার পেইসার।

নিজের পরের ওভারে আবারও আঘাত হানেন এবাদত। তার শিকার হয়ে ফিরতে হয় দানুষ্কা গুনাথিলাকাকে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।

নবম ওভারে লঙ্কা শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন। ভানুকা রাজাপাকশেকে ২ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে নিজের ঝুলিতে প্রথম উইকেট পুরেন ডানহাতি এই পেইসার।

উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালাতে থাকেন মেন্ডিস। দাশুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ১০ ওভারে তোলেন ৮০ রান। সঙ্গী দাশুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে বারবার জীবন দেয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরুপ তুলে নেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক।

অর্ধশতক তুলে নেয়ার পর বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ৬০ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

এরপর মরুর বুকে ঝড় তোলেন অধিনায়ক শানাকা। ৩৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে মোসাদ্দেকের হাতে ধরা দেন মাহেদী হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। আর তার বিদায়ে এক প্রকারে পরাজয়ের শঙ্কা উকি দেয় শ্রীলঙ্কার শিবিরে।

বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় থাকা জয় দূরে ঠেলে দেয় শেষদিকে এবাদত-মাহেদীর অগোছালো বোলিং। এবাদত মেহেদীর শেষদিকে অতিরিক্ত রানের পসরা বসানোয় ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় শ্রীলঙ্কা।

আর ৩ বলে ১০ রান করে শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক আসিথ ফার্নান্দো।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত