সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৯

এবার আমিরাতের বিরুদ্ধে সহজ জয় বাংলাদেশের

আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই দিন আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ‘সহজ ম্যাচ’ জিতেছিল কঠিন করে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সেই বাংলাদেশই জয় পেয়েছে হেসেখেলে।

সিরিজ নিশ্চিতের এ ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৩২ রানে। সেই সুবাদে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি আরব আমিরাতকে ক্লিন সুইপ করেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের করা ১৬৯ রানের জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানেই থেমে যায় আমিরাতের ইনিংসের চাকা।

বাংলাদেশের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে আরব আমিরাত। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২৮ রান তুললেও সপ্তম ওভারেই স্বাগতিকরা হারায় আরও দুই টপ অর্ডারকে। এতে করে স্কোরবোর্ডে ২৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট নেই আমিরাতের।

দ্রুত চার টপ অর্ডারকে হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলা দলকে ট্র্যাকে ফেরানোর মিশনে নামেন চুন্দাঙ্গাপয়িল রিজওয়ান ও বাসিল হামিদ। দেখেশুনে খেলে এই দুই ব্যাটার এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।

রানের গতি বাড়াতে না পারলেও উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন এই দুই ব্যাটার। উইকেট কামড়ে ধরে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহ শতরান পার করেন দুজন মিলে। বিপর্যয় এড়ালেও দলকে জয় এনে দিতে সক্ষম হননি তারা।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলতেই ইনিংসের চাকা থামে আরব আমিরাতের। মোসাদ্দেক, তাসকিন, নাসুম ও এবাদত ভাগ করে নেন তাদের ৫ উইকেট। শুধুমাত্র মোসাদ্দেক পেয়েছেন ২ উইকেট।

এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে কেবলমাত্র সাব্বির রহমানের উইকেট হারিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা স্কোরবোর্ডে তোলে ৪৮ রান।

মাঠ ছাড়ার আগে সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১২ রানের ইনিংস। দলের স্কোর তখন ৩.৪ ওভারে ২৭ রান।

কিন্তু সাব্বিরের বিদায় বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারেনি টাইগারদের পারফরম্যান্সে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাসের মারকুটে ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশের রানের চাকার গতি কমাতেই পারছিল না আরব আমিরাতের বোলাররা।

রানের গতি কমাতে না পারলেও লিটনকে ২০ বলে ২৫ রানে থামিয়ে দেন আয়ান আফজাল খান। আমিরাতের এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মেইয়াপানের হাতে ধরা দিয়ে থামতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।

সঙ্গী বিদায় নিলেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মিরাজ। আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গতি বাড়ান রানের চাকার। সেই সুবাদে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান তোলে সফরকারীরা।

আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা আফিফকে অল্পতেই থামিয়ে দেন আয়ান আফজাল। মেইয়াপানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি খেলেন ১০ বলে ১৮ রানের ইনিংস।

তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে অর্ধশতকের দিকে ব্যাট ছোটান মিরাজ। ৩৭ বলে ৪৬ রান করে সাবির আলির এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।

এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২৭, ইয়াসির আলি রাব্বির ২১ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ১৯ রানের সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত