সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:১৯

হেরেই চলছে সিলেট

হারে শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হতাশা সঙ্গী হয় সিলেট স্ট্রাইকার্সের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকার প্রথম পর্বে জয়হীন থাকা দলটির ভাগ্য বদলায়নি ঘরের মাঠ সিলেটে গিয়েও। হেরেই চলেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ব্যাটিং ব্যর্থতা হয়ে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রতিচ্ছবি। বল হাতে পুষিয়ে নেওয়ার মতো পারফরম্যান্সেরও দেখা মিলছে না। তাই তাদের গল্পটা এখন পর্যন্ত এমন; হার, হার, হার, হার এবং হার।

দুই দিনে টানা দুটি ম্যাচ হারলো সিলেট, আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও তারা হার মানলো কোনো লড়াই না করেই। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের বিপক্ষে ৪৯ রানের সহজ জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল। জয়ে বিপিএল শুরু করা বরিশালের খারাপ সময়ই যাচ্ছিল। লড়াই করেও হার মানতে হচ্ছিল তাদের। টানা তিন হারের পর জয়ে ফিরলো দলটি। পাঁচ ম্যাচে ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে আছে তারা।

হারই অমোঘ নিয়তি হয়ে ওঠা সিলেট পাঁচ ম্যাচের সবগুলো হারলো, স্বভাবতই পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল তারা। চলমান বিপিএলে সিলেটই একমাত্র দল, যারা এখনও কোনো ম্যাচ জেনেনি। টুর্নামেন্টের বাকি এখনও বহু পথ, এরই মাঝে বাদ পড়ে যাওয়ার চিন্তায় সিলেট। নক আউট পর্বে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বাকি ম্যাচগুলোয় বিজয় নিশান ওড়াতে হবে তাদের। না হলে বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে মাশরাফির দলের।

বরিশাল আজ ব্যাটে-বলে শাসন করে সিলেটকে হারিয়েছে। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা দলটিকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন হাফ সেঞ্চুরি করা আহমেদ শেহজাদ। শেষ দিকে তাণ্ডব চালিয়ে পঞ্চাশ ছোঁন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই দুজনের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আরও কয়েকটি ছোট ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে বরিশাল। জবাবে জাকির হাসান ছাড়া কেউ-ই সেভাবে লড়াই করতে পারেননি। আরও দুজন ২০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন, বাকিদের মধ্যে সাতজন দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। ১৭.৩ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয় সিলেট।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় জাকির কেবল সময় উপযোগী ব্যাটিং করতে পেরেছেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন। ২৩ বলে ২৫ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ভালো শুরু করা বেনি হাওয়েল ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ফেরার আগে ১৯ বলে ২৪ রান করেন। শেষ দিকে একটি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। বাকিরা উইকেটে ক্ষণিকের 'মেহমান' ছিলেন। বোলিং করেননি মাশরাফি, ব্যাটিংয়ে চারে নেমে ৩ বলে করেন ২ রান। সিলেটকে সবচেয়ে ভোগানো বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইমরান২৯ রানে ৪টি উইকেট নেন। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং খালেদ আহমেদ ২টি করে উইকেট পান।

এর আগে ব্যাটিং করে ৩৩ রানে ২ উইকেট হারালেও বরিশালকে চাপ বুঝতে দেননি শেহজাদ। পাকিস্তানি এই ওপেনার দুর্বার ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৪১ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন শেহজাদ। শেষ দিকে ঝড় তোলা মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ২০, মুশফিকুর রহিম ২২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ১৫ রান করেন।      

আপনার মন্তব্য

আলোচিত