স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১০:১২

দুর্দান্ত জয়ে আবার শীর্ষে বার্সা

লা লিগায় জমে ওঠা শিরোপা লড়াইয়ে এক দিনেই তিন বার পালা বদল! প্রথম ম্যাচ জিতে শীর্ষে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মাঝে কিছুক্ষণ আতলেতিকো সেটা দখল করলেও স্পোর্তিং গিহনকে উড়িয়ে দিয়ে আবার শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো বার্সেলানা।

বার্সেলোনার ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে চারটি গোলই করেন লুইস সুয়ারেস। অপর দুটি গোল ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর অন্য দুই সদস্য লিওলেন মেসি ও নেইমারের।

কাম্প নউতে শনিবার রাতে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে সের্হি রবের্তোর ক্রসে তার হেডে বল ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে যায়।

একাদশ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগতে পারেনি অতিথিরা। ক্রসে বল পেয়ে ১২ গজ দূর থেকে গোল করতে পারেননি আলেক্স মেনেন্দেস, সোজা বল মারেন গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো বরাবর।

পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইভান রাকিতিচ উচিয়ে বল মেরেছিলেন ডি-বক্সে সুয়ারেসের উদ্দেশে। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করলে বল চলে যায় মেসির কাছে। হেডে খালি জালে গোল করতে কোনো সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।

মেসি-সুয়ারেস দুর্দান্ত খেললেও অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন নেইমার। গত ছয় ম্যাচে মাত্র একটি গোল পাওয়া ব্রাজিল অধিনায়কের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব টের পাওয়া গেছে। ৪০তম মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে কয়েকবার শট নেওয়ার সুযোগ এলেও ডিফেন্ডারদের কাটাতে দিয়ে তা নষ্ট করেন তিনি। কয়েক মিনিট পর আবারও শট নিতে ইতস্তত করে সুযোগ হারান নেইমার।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফেরা দারুণ সুযোগ পেয়েছিল গিহন। প্রথমে গোলরক্ষক ব্রাভো গোলের প্রচেষ্টা ঠেকানোর পর গোললাইনের একটু সামনে থেকে বল বিপদমুক্ত করেন হাভিয়ের মাসচেরানো। ফিরতি শট একেবারে গোললাইন থেকে কোনোমতে ফেরান জেরার্দ পিকে।

বিরতির পরও নেইমারের জড়তা কাটেনি। ৫৯তম মিনিটে তো খুব কাছ শট নিলেন গোলরক্ষকের দিকেই।

মেসি-সুয়ারেস কিন্তু ভয় ছড়িয়েই গেছেন গিহনের রক্ষণভাগে। ৬৩তম মিনিটে মেসির কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আড়াআড়ি বল পাঠান সুয়ারেসকে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে গোলের খাতা খোলেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।

৭৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন সুয়ারেস। তিন মিনিট পর আবার পেনাল্টি, আবার গোল করে হ্যাটট্রিক সুয়ারেসের। নেইমারকে ডি-বক্সে ফাউল করায় এবারের স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এই মৌসুমে সুয়ারের এটি চতুর্থ হ্যাটট্রিক।

৮৬তম মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে অবশেষে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়া গোলটি পান নেইমার। দুই মিনিট পরই মেসির পাস থেকে নিজের চতুর্থ গোলটি তুলে নেন সুয়ারেস।

খবর: বিডিনিউজ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত