ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৫ এপ্রিল, ২০১৬ ২২:০৩

বিসিবি সভাপতির ভুল ব্যাখ্যা, র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরেই বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দুবাইয়ে আইসিসির সভা থেকে ফিরে জানিয়েছিলেন আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমান ৭ নম্বর অবস্থান থেকে ৫ নম্বরে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা ছিল বিসিবি প্রধানের ভুল ব্যাখ্যা। পাঁচে নয়, সাতেই থাকছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন, ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে উঠছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে উঠছে বলে জানালেও আসলে সাত নম্বরেই থাকছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

দুবাইয়ে আইসিসি সভায় বিসিবি সভাপতিকে পঞ্চম স্থান বলে যেটি জানানো হয়েছে, সেটি বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান।

শুধু ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের হিসাব করলে বাংলাদেশ পাঁচ নম্বরে আছে, তবে এই অবস্থান বর্তমান র‌্যাংকিং অথবা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার বিষয়ে মূল বিবেচ্য নয়। বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের র‌্যাঙ্কিংয়ের অবস্থান বিবেচনায় নেওয়ার সময় বাংলাদেশ যে মৌসুমটায় খুব ভালো করেছে সেই ২০১৫-১৬ মৌসুমের পয়েন্টের শতভাগ নয়, ৫০ শতাংশ বিবেচনায় আসবে। সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়াটা তাই সহজ ধরে নেওয়া যাবে না।

আনুষ্ঠানিক র‌্যাঙ্কিংয়ে সবসময়ই সবশেষ ৩ বছরের হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হয়। দুবাইয়ে বোর্ড প্রধানকে জানানো হয়েছে স্রেফ বাংলাদেশের অগ্রগতির ব্যাপারটি।

আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদে বিবেচনায় নেওয়া হয় সবশেষ তিন মৌসুমের পারফরম্যান্স। আগামী হালনাগাদের সময় তাই বিবেচনায় নেওয়া হবে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের পারফরম্যান্স। এই ক্ষেত্রে প্রথম দুই মৌসুমের ফলাফলের পয়েন্টের ৫০ শতাংশ বিবেচনায় নেওয়া হবে আর ২০১৫-১৬ মৌসুমের নেওয়া হবে শতভাগ। সেই হিসাবে হালনাগাদের পর আগামী ২ মে যে র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হবে, সেখানে বাংলাদেশ এখনকার মতোই সাত নম্বরেই থাকবে।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড যদি শীর্ষ আটের বাইরে থাকে, সেক্ষেত্রে সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড ও শীর্ষ সাত দল। তখন বিবেচনায় আসবে ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ মৌসুম। বাদ পড়ে যাবে ২০১৩-১৪।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত