স্পোর্টস ডেস্ক

০২ জুলাই, ২০১৬ ০৩:২৭

বেলজিয়ামকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওয়েলস

প্রথমবারের মত ইউরো কাপ খেলতে এসে কোয়ার্টার ফাইনালে র‍্যাঙ্কিং এর ২য় স্থানে থাকা বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ হয়েছে গ্যারেথ বেল এর ওয়েলস।

ফ্রান্সের লিলে রাদিয়া নাইনগোলানের গোলে শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো ওয়েলস অ্যাশলে উইলিয়ামস, হল-রবসন কানু ও স্যাম ভোকসের গোলে জয় নিশ্চিত করে।

এবারের ইউরোয় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয় পাওয়া বেলজিয়াম শুক্রবার রাতে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে দারুণ শুরু করে। ১৩ মিনিটে রাদিয়া নাইনগোলানের অসাধারণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরিকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা দলটি।

সপ্তম মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারতো তারা; কিন্তু রোমেলু লুকাকুর দারুণ ক্রস ছয় গজ দূরে ফাঁকায় পেয়েও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকো। দুই মিনিট পর বাঁ দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ওয়েলসের অধিনায়ক বেল।

এর কিছুক্ষণ পরই নাইনগোলানের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা বিদ্যুৎ গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এএস রোমার এই মিডফিল্ডার।

২৬ তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো ওয়েলস। কিন্তু পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে মিডফিল্ডার নেইল টেইলরের নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক থিবো করতোয়া।

এর পাঁচ মিনিট পরেই কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় ওয়েলস। অ্যারন র‌্যামজির কর্নার ছয় গজ দূরে পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান অরক্ষিত থাকা অ্যাশলে উইলিয়ামস। বিরতির খানিক আগে আবারও হেডে বল জালে জড়ানোর সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ যাত্রায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে মারেন সোয়ানসি সিটির এই ডিফেন্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে বেলজিয়াম তিনটি সুযোগ নষ্ট করে। ৪৮তম মিনিটে অরক্ষিত থাকা রোমেলু লুকাকুর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার এক মিনিট পরেই ডি বক্সের বাইরে থেকে কেভিন ডি ব্রুইনের জোরালো শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের শট পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়।

৫৫তম মিনিটে বেলজিয়ামের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন হল-রবসন কানু। র‌্যামজির লম্বা ক্রস পেনাল্টি স্পটের কাছে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা এক জনকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড। পাশে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার মারোয়ানি ফেলাইনি চার্জ করবেন কি না, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে ফেলেন।

৭৩তম মিনিটে চার গজ দূর থেকে ফেলাইনির হেড ডান পোস্টের অল্প দূর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

আর ৮৫তম মিনিটে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ভোকস। লেখা হয়ে যায় প্রথমবার ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় এসেই সেমি ফাইনালে ওঠার ইতিহাস।

বুধবার (৬ জুলাই) লিওঁতে প্রথম সেমি-ফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে ওয়েলস। পরপর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য র‌্যামজিকে পাবে না ৫৮ বছর পর ইউরো খেলতে আসা ওয়েলস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত