স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০১৬ ২০:০২

কোচ ছাড়াই রিও অলিম্পিকে ইরানকে প্রথম স্বর্ণ দিলেন রোস্তামী

রিও অলিম্পিক ইরানকে প্রথম সোনা এনে দিলেন কিয়ানোশ রোস্তামি।

সেটিও নিজের গড়া বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে। ভারোত্তোলনে ৮৫ কেজি বিভাগে ৩৯৬ কেজি তুলে রোস্তামি এখন ঝলমলে আলোতে ভাসছেন।

অথচ শুনলে অবাক হবেন, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে একই বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতা রোস্তামি এবার রিও গিয়েছেন কোনো কোচের অধীনে প্রশিক্ষণ না নিয়েই!

রোস্তামি নিজেই যে নিজের প্রশিক্ষক, তা তো আর না বললেও বলছে। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সোনা জিতে সবাইকে তা মনেও করিয়ে দিয়েছেন, ‘ইরানে অনেক ভালো ভালো কোচ আছে। কিন্তু আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে চেয়েছি।’

কোচহীন রোস্তামিকে ইরানে অনেকেই ‘বোকা’ ঠাওরেছিলেন। বাঁকা হাসি হাসার লোকও কম ছিল না। অলিম্পিকের মতো মঞ্চে কোচ ছাড়া যাওয়ার ঝুঁকি না নিতে অনেকে সাবধান করেছিলেন। কিন্তু রোস্তামি থাকলেন অবিচল। পেছনে তাকিয়ে বলছেন, ‘কেউ ভাবেনি অলিম্পিকের মতো বড় প্রতিযোগিতায় কোচ ছাড়া যাওয়া যায়! কিন্তু আমি তো এসেছি। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সোনাও জিতলাম।’

একা একা অনুশীলন করেছেন। ‘পাগল’ রোস্তামির দিকে কেউ ফিরে তাকানোর প্রয়োজনও মনে করেনি। জয়ের মুহূর্তে অবহেলার সেই দিনগুলো মনে পড়ছে তাঁর, ‘আমি নিজে নিজেই অনুশীলন করতাম। কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকাত না। এমনটা হলে মানসিকতায় একটু খ্যাপাটে ভাব চলে আসে। আমারও এসেছিল। আমি এভাবেই আবার অলিম্পিকে অংশ নেব, এটা সবাইকে জানিয়ে রাখতে চাই।’

ইরানের অলিম্পিক ইতিহাসের ১৬ তম সোনার পদক এল এই ভারোত্তোলকের হাত ধরে। এখানেই শেষ নয় বলছেন রোস্তামি। রিও অলিম্পিকেই ভারোত্তলনে পুরুষ বিভাগে অন্তত আরও দুটো সোনার সম্ভাবনা দেখছেন। ৯৪ কেজিতে সোহরাব মোরাদি আর সুপার হেভিওয়েটে বেহদাদ সেলিমি কোরদাবিয়াসির ওপর অনেক আশা রোস্তামির, ‘আমরা আরও সোনার পদক পাব। আরও বিশ্ব রেকর্ড দেখব। আমি জিতেছি। আমি মনে করি অন্যরাও সোনা নিয়েই দেশে ফিরবে।’
সূত্র: রয়টার্স।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত