ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ১৭:৫৫

তামিমের চিটাগং হারল মুশফিকের বরিশালের কাছে

বিপিএল-এ সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল বুলস।

শাহরিয়ার নাফিস ও ডেভিড মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যটা ৭ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে টপকে গেছে বরিশাল বুলস। তামিম ইকবালের ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসটা বৃথাই গেল!

এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের বৃত্তে তামিমের চিটাগং। অন্যদিকে, টানা তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল।

দ্বিতীয় উইকেটে ১৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন নাফিস ও মালান। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে নাফিসের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৬৫। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার।

দলীয় ১৫৭ রানে নাফিস আউট হওয়ার পরের বলেই থিসারা পেরেরাকে (০) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন পাকিস্তানি পেসার ইমরান খান। ম্যাচেও এর প্রভাব পড়লেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বরিশাল।

তিন চার ও সাত ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৮ রানের ‘বিস্ফোরক’ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান। উইনিং রান আসে মুশফিকের (৪ বলে ১০ অপ.) ব্যাট থেকে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট উদযাপনে মাতে চিটাগং। পেসার শুভাশিষ রায়ের বলে দলীয় সাত রানের মাথায় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জশ কব (৬)। কিন্তু, এরপর জুটি গড়ে তামিম ইকবালদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় নাফিস-মালান জুটি।

এর আগে বরিশাল বুলস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টসে জিতে বল হাতে তুলে নেন। আশায় ছিলেন প্রতিপক্ষকে কম রানে বেঁধে ফেলবেন। কিন্তু তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেন তামিম ইকবাল। বিপিএল-এ তামিম ইকবালের জ্বলজ্বলে ফর্ম অব্যাহত থাকলো এ ম্যাচেও। ইনিংসের প্রথম ওভারটি ছিল মেইডেন, বোলার ছিলেন তাইজুল ইসলাম।

তামিম আসলে সময় নেন সেট হওয়ার জন্য আর যখন তিনি হাত খুলতে শুরু করলেন তখন বল ছড়িয়ে পড়তে লাগলো সবখানে! ৫১ বলে ১০ টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৫ রান করে তিনি কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হন।

মারমুখী মেজাজে থাকা তামিম ডাউন দ্য উইকেট এসে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। জহুরুল ইসলামের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩.১ ওভারে করেন ১১৬ রান।  অপর ওপেনার জহুরুল ৩৪ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নেন, তামিমের প্রস্থানের ছয় রান পর তিনিও ধরেন সাজঘরের পথ।

এনামুল হক বিজয় ও ডোয়াইন স্মিথ এরপর দলের হাল ধরেন। তাতেও হাঁফ ছাড়ার অবকাশ পাননি বরিশালের বোলাররা। দুজনেই বোলারদের শাসন করে চলেন। বিজয় ১৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ১৭ বলে ১৭ রান করে শেষ বলে আউট হন।

আল আমিন হোসেন ৩৫ রানে, আবু হায়দার রনি ৩১ রানে ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ২১ রানে একটি করে উইকেট নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত