ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ২৩:২৭

হেরেই চলেছে ‘অগোছালো’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

প্রতি ম্যাচেই তিন, চারজন করে খেলোয়াড় বদল করেও সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে না পাওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেও হেরেছে। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে এবার তাদের পরাজয় ৩৩ রানে।

আগের ম্যাচগুলোর মত এদিনও টস জিতে কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। আগের ম্যাচের থেকে একাদশ থেকে বেশ কয়েকজনকে বদল করে খেলতে নামে কুমিল্লা। ফলাফল কাজে দেয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুমুল ঝড় তোলে ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করার ঢাকা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদি মারুফ টুর্নামেন্টে তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতক তোলে নেন। আউট হবার মেহেদি ৩৯ বলে ৬০ রান করেন,যাতে ছিল তিনটি বিশাল ছয়। সাঙ্গাকারা করেন ১২ বলে ২০। ওয়ানডাউনে নামা নাসিরের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। শেষের দিকে ১৩ বলে ২৪ রান করেন অধিনায়ক সাকিব।


কুমিল্লার বোলারদের কেউই ডায়নামাইটসের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারেননি। নিয়মিত উইকেট রক্ষক লিটন দাসের বদলে খেলতে নামা আনকোরা জসিমউদ্দিনের হাত গলেই বাই থেকেই একাধিক বাউন্ডারি হয়ে যায়।

১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন ইমরুল। ১৯ রান করে তিনি ফিরে গেলে একবার জীবন পেয়েও তরুণ জসিম ১০ রান করে ফিরে গেলে কুমিল্লার স্কোর পরিণত হয় ৩০/২। স্যামুয়েলসের বদলে খেলতে নামা শেহজাদ ১৫ রান করে স্ট্যাম্পিং হলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেই হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক পর্যায়ে ৭৪ রানেই ৭ উইকেট খুইয়ে ১০০ রানের ভেতরে অলআউট হবার শঙ্কাও তৈরি হয়। তবে সে অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান অধিনায়ক মাশরাফিই। ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তাঁর ৩৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটিই কুমিল্লার সর্বোচ্চ। মাশরাফি অর্ধশত করতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬১ রান তুলে থামে কুমিল্লার ইনিংস।

৬০ রান করা মেহেদি ম্যাচ সেরা হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত