ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৭:৪৩

টানা ৪ জয়েও বিপিএল থেকে ছিটকে গেল মাশরাফির কুমিল্লা

বিপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচটি জয় দিয়েই শেষ করলো মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। রংপুর রাইডার্সকে ৮ রানে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভিক্টোরিয়ানসরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় খেলতে নামে কুমিল্লা আর রংপুর। গতকালের ম্যাচে রংপুর বরিশাল বুলসের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় এবারের আসর থেকে কুমিল্লা ও বরিশালের বিদায় ঘটে। আসরের প্রথম থেকেই বাজে খেলা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মাশরাফির কুমিল্লা শেষ চার ম্যাচে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয়।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪১তম ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের দলপতি নাঈম ইসলাম। বিদায়ী ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। জবাবে, নির্ধারিত ওভারে ১৬২ রান তুলে থেমে যায় ৮ উইকেট হারানো রংপুরের ইনিংস।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। আরেক ওপেনার খালিদ লতিফের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পান আরাফাত সানি ও রুবেল হোসেন।

কুমিল্লার হয়ে ইনিংস সূচনা নামেন ইমরুল কায়েস এবং খালিদ লতিফ। ৩০ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কায় ব্যক্তিগত ৫০ রান করেন ইমরুল কায়েস। ইনিংসের ১১তম ওভারে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। আরাফাত সানির বলে বাউন্ডারি সীমানায় লিয়াম ডসনের দারুণ এক ক্যাচে ফেরেন ৩৫ বলে ৫২ রান করা কুমিল্লার ওপেনার। বিদায়ের আগে ইমরুলের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি আর ২টি ওভার বাউন্ডারি।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে আবারো আঘাত হানেন আরাফাত সানি। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে তিনি বিদায় করেন কুমিল্লার আরেক ওপেনার খালিদ লতিফকে। শহীদ আফ্রিদির হাতে ধরা পড়ার আগে লতিফ ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার আর ২টি ছক্কার মার। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় কুমিল্লা দ্বিতীয় উইকেট হারায়।

১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে শহীদ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি। ৭ বলে একটি চারে সমান সাত রান করেন তিনি। আর ১৯তম ওভারে দারুণ খেলতে থাকা মারলন স্যামুয়েলসকে (৩০) রান আউট করে ফেরায় রংপুর। ইনিংসের শেষ ওভারে আসহার জাইদি (১৭) ও লিটন দাসকে (৬) বোল্ড করেন রুবেল হোসেন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭১ রানের টার্গেটে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও সৌম্য সরকার। পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে থাকলেন সৌম্য সরকার। এখন পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে। এই ম্যাচে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ১২ বলে ৫ রান। নাবিল সামাদের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

৭ম ওভারে মাশরাফি ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন মিঠুন (২)। পরের ওভারে নাবিল সামাদ ফেরান লিয়াম ডসনকে (৩)। পরের ওভারে আবারো মাশরাফির আঘাত। এবারে ফেরেন আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। ম্যাশের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৫ রান। তার ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার আর দুটি ছক্কা।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে ফেরেন রংপুর দলপতি নাঈম ইসলাম (১৪)। রশিদ খানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি দুটি বাউন্ডারির দেখা পান। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় রংপুর।

এরপর রংপুরের চোখ ছিল আফ্রিদির দিকেই। তবে, ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে বিদায় নেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। তার ১৯ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর দুটি ছক্কার মার। দলীয় ১১৪ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় রংপুর। ১৬তম ওভারে আনোয়ার আলীকে (১) বিদায় করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

এরপর সোহাগ গাজীকে (৭) উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন রশিদ খান। শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল রংপুরের। নাবিল সামাদের বলে দুটি ছক্কা হাঁকালেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেনি জিয়া-সানি। দারুণ ব্যাট চালিয়ে ২২ বলে ৩৮ রান করে ১টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান। আরাফাত সানি ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত