স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৬:৪৮

দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ইংল্যান্ড টেস্ট দলে!

জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকাতে। বেড়ে উঠেছেন সেখানে। ক্রিকেটে হাতেখড়ি থেকে শুরু করে ক্রিকেটার হয়ে ওঠাও তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই। নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।

এত কিছুর পর কেটন জেনিংস নিজের প্রোটিয়া পরিচয় পাল্টে এখন একজন ‘ইংরেজ’। এখন ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি। হাসিব হামিদের চোটের কারণে দলে সুযোগ পেয়েছেন এই ওপেনার। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চতুর্থ টেস্টে ইংলিশদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামতে পারেন জেনিংস।

পাঁচ ম্যাচের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তিনটি টেস্ট হয়ে গেছে। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড। রাজকোটে প্রথম টেস্টে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর বিশাখাপত্তম ও মোহালিতে রীতিমতো আত্মসমর্পণই করেছে ইংলিশরা। মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া টেস্ট ম্যাচটি অ্যালিস্টার কুকের দলের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। হঠাৎ​ করেই দলে সুযোগ পাওয়া ‘প্রোটিয়া’ জেনিংস হয়তো ইংল্যান্ডের অস্তিত্বের লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছেন।

বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মুম্বাইয়ে কুকের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ইনিংস উদ্বোধন করতে পারবেন না কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে দলে হঠাৎ করে ডাক পাওয়াতে সুযোগে অবাক হয়েছেন জেনিংস নিজেও। এখনো তাঁর ইংরেজি উচ্চারণে দক্ষিণ আফ্রিকার টান রয়ে গেছে। তারপরও ইংল্যান্ড দলে তিনি নিজেকে আগন্তুক মনে করেন না, ‘এই মুহূর্তে আমি নিজেকে খুব করেই ইংলিশ ভাবছি। দলে আমার কোনো অসুবিধাও হচ্ছে না। যদিও আমার ইংরেজি উচ্চারণ মোটেও ইংরেজদের মতো নয়।’

জেনিংসের মা ইংরেজ। জোহানেসবার্গে জন্ম নেয়া জেনিংস ২০১১ সালে হাইস্কুল পাশ করে চলে আসেন ইংল্যান্ডে। বাস করা শুরু করেন স্থায়ীভাবেই। চার বছরের বেশি সময় ধরে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে পারফর্ম করার পর ‘ইংলিশ’ হিসেবেই সুযোগ পেয়ে গেলেন ইংল্যান্ড টেস্ট দলে।

ইংল্যান্ড দলে সময়টা উপভোগই করছেন তিনি, ‘সুযোগটা আমি পেশাদারির সঙ্গে কাজে লাগাতে পারব কিনা জানি না, তবে আমি ইংল্যান্ড দলে কিন্তু ভালোবাসাই পাচ্ছি। দলের সবাই আমাকে ভালোভাবেই​নিয়েছে।’

ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁর। নির্বাচকদের মনোযোগটা আকর্ষণ করে ফেলেছিলেন আগেই। উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে বাড়ি করে থিতু হওয়া জেনিংস ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছেন দারুণভাবেই।

জাতীয়তাবোধের বাধাটা তিনি কাটাবেন কীভাবে, দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যাও , ‘আসলে কোনো জায়গায় বেশিদিন কাটিয়ে ফেললে, আপনি নিজেকে সেই জায়গারই একজন ভাবতে শুরু করবেন। আমি ধন্য যে ইংল্যান্ডে আমাকে ভালোবাসা আর উদারতার সঙ্গেই গ্রহণ করা হয়েছে।’
সূত্র: এএফপি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত