স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ এপ্রিল, ২০১৭ ১৪:৪৬

‘শচীন: এ বিলিয়ন ড্রিমস’ নিয়ে রোমাঞ্চিত টেন্ডুলকার

তিন বছরের একটি ছেলে। পুরো পরিবারের সঙ্গে যাচ্ছে সিনেমা দেখতে। তখন মাত্রই বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর একটি নতুন ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু বাসে করে সিনেমা হলে যাওয়ার পথে এক কাণ্ড ঘটাল ছেলেটা। বাসের কন্ডাক্টরের কাছে চেয়ে বসল সিনেমার টিকিট!

কন্ডাক্টর যেহেতু যাত্রীদের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে টিকিট দিচ্ছিলেন, ছেলেটার তাই মনে হয়েছিল, তিনি সিনেমার টিকিটও দিচ্ছেন। বড় হওয়ার পর সেই ছেলেটাকে সবাই চিনেছে শচীন টেন্ডুলকার নামে!

লিটল মাস্টারের জীবনের এমন অনেক ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবি—শচীন: আ বিলিয়ন ড্রিমস। যে ছবির ট্রেলার মুক্তির দিনে অতিথি হয়ে এসে খোদ টেন্ডুলকার বলেছেন ছবিটি নিয়ে তাঁর রোমাঞ্চের কথা।

ছবি মুক্তির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সেই রোমাঞ্চ বাড়ছে কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যানের। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দুশ্চিন্তাও। কেন? শুনুন টেন্ডুলকারের মুখেই, ‘১৯৯০ সালে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটি করার পর সংবাদ সম্মেলনের আগে যেমন লাগছিল, ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে সে রকম লাগছে। সে সময় আমার সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। ড্রেসিংরুমের প্রায় সবাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ব্যাপারটা কীভাবে করতে হয়। আমাকে যে প্রশ্নগুলো করা হবে, সেগুলো নিয়ে আমি খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। এখনো তেমন লাগছে।’

সিনেমার বিষয় হতে পারা, এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারাও টেন্ডুলকারের জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা, ‘আমি এই ছবিতে জেমস এরসকাইনের (ছবির পরিচালক) সঙ্গে কাজ করেছি। এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা। জেমস খুবই অভিজ্ঞ একজন। ছবিতে আমার জীবনের এমন কিছু দেখানো হয়েছে, যেটা খুব বেশি কেউ জানে না। এখানে কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসার ব্যাপার আছে। ছবির প্রযোজক রবি ভাগচান্দকা আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি আসলে গোটা বিষয়টায় মুগ্ধ ও আনন্দিত।’

দর্শকেরাও ছবিটি দেখে দারুণ আনন্দ পাবেন বলে আশা করছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান, ‘আমি দর্শকদের আনন্দটা মাটি করতে চাই না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমার জীবনের অনেক ঘটনাই এই ছবিতে ক্যামেরার মাধ্যমে ধরা আছে।’
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আপনার মন্তব্য

আলোচিত