ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৮ মে, ২০১৭ ০০:২২

পারলো না টাইগাররা, টানা দ্বিতীয় জয় কিউইদের

কেন উইলিয়ামসন, কোরি অ্যান্ডারসন, মার্টিন গাপটিলরা নেই। তবু এই নবীন নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে পেরে উঠলো না বাংলাদেশ। ২৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে থাকা নিউ জিল্যান্ড এক পর্যায়ে বিপদেই পড়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে।

বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষে তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ এক বলে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দী হন ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে ২৭ রান করা লুক রঞ্চি। কিউইদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে রানআউটে। মোসাদ্দেকের বলে টি ল্যাথাম অফসাইডে ঠেলে দিয়েই দৌড় দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরতে হয় ১৭ রান করা ওয়ার্কারকে।

টাইগারদের হয়ে তৃতীয় আঘাতটি হানেন পেসার রুবেল হোসেন। তাঁর বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী হন বিধ্বংসী ওপেনার টম ল্যাথাম। আউট হওয়ার আগে তিনি ৬৪ বলে ৩ চার এবং ১ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। এরপর রস টেইলরকে (২৫) ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

পঞ্চম উইকেটে ৮০ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন নেইল ব্রুম আর জেমস নিশাম। মূলত এই জুটিই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ব্রুম (৪৮) এলবিডাব্লিউ হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। ৫২ রান করে নিশামও মাশরাফির শিকার হন। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ১৫ বল হাতে রেখেই জিতে যায় কিউইরা।

এর আগে ডাবলিনের ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই্ প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হন ওপেনার সৌম্য সরকার। অপর প্রান্তে ধীরস্থির ছিলেন তামিম। ৪২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে নিশামের বলে মুনরোর হাতে ধরা পড়েন তামিম। ৭২ রানের দারুণ ওপেনিং জুটির ইতি ঘটে। টিকতে পারেননি এরপর নামা সাব্বির। মাত্র ১ রান করে স্যান্টনারের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর ৫৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারে ৫ম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন সৌম্য। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে তার ৩৮ রানের জুটিটা বেশ জমে গিয়েছিল। সবাই যখন স্বপ্ন দেখছিল সৌম্যর ইনিংসটি তিন অংকে যাবে; তখনই ছন্দপতন। সোধির বলে সৌম্য ল্যাথামের তালুবন্দী হয়ে বিদায় নেন ৬৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬১ রান করে।

সৌম্যর পর বাজে শট খেলে সোধির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। করতে পেরেছেন মাত্র ৬ রান। হাফ সেঞ্চুরি করে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও সৌম্য সরকারের পথ ধরেন। ৬৬ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করে নিশামের বলে উইকেট কিপার রঞ্চির গ্লাভসবন্দী হন তিনি।

দলকে আড়াইশর ঘর পার করতে দারুণ অবদান রাখেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন। পঞ্চম এবং ৬ষ্ঠ উইকেটে ৪৯ এবং ৬১ রানের দুটি কার্যকর জুটি পায় বাংলাদেশ। রিয়াদ ৫৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫১ এবং মোসাদ্দেক ৪১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন।

আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারানো কিউইদের এটি সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত