স্পোর্টস ডেস্ক

০৪ জুলাই, ২০১৭ ১৮:২৯

রবি শাস্ত্রীকেই ভারতের কোচ হিসেবে দেখছেন গাভাস্কার

ভারতের পরবর্তী কোচ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন রবি শাস্ত্রীই—সুনীল গাভাস্কারের মন বলছে এমনটিই। শাস্ত্রীর সামর্থ্যের ওপর ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির আছে অগাধ আস্থা, ‘আসলে ২০১৪ সালে রবি শাস্ত্রীর হাত ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটের বদলে যাওয়ার শুরু।

ভারত যখন হারছিল, তখন ক্রিকেট বোর্ড শাস্ত্রীকে দলের কোচিং ডিরেক্টর হওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। সে সময় হঠাৎ করেই বদলে যায় ভারতীয় দলের ভাগ্য। দল জিততে শুরু করে। এখন সে আবার নতুন করে কোচের পদে আবেদন করেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, শাস্ত্রীই কোচ হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে।’

অনিল কুম্বলের পদত্যাগের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদে আবেদন করার সময়সূচী বাড়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত। এর মধ্যেই কোচের পদে আবেদন করেন শাস্ত্রী। ১০ জুলাই কোচের পদে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেবে ভারতীয় বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটি। কোচ নিয়োগের পুরো দায়িত্ব শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষ্মণের এই উপদেষ্টা কমিটির ওপর।

এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেন, ‘কোচের পদে অনেকেই আবেদন করেছেন। আবেদন করেছে বীরেন্দর শেবাগ; টম মুডি তো আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দারুণ করেছে। হ্যাঁ, রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থী আছেন। কিন্তু কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর যে অভিজ্ঞতা, তার তুলনায় অন্যরা পিছিয়েই আছে।’

ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্কটাও ধর্তব্যের মধ্যে নিতে চান গাভাস্কার, ‘দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্কটা দুর্দান্ত। এটা ওর জন্য বড় সুবিধা।’

২০১৪ সালে শাস্ত্রী যখন কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় টানা হারের পর বিধ্বস্ত ভারতীয় দল। শাস্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে বদলে দেন পুরো দলকে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারত টেস্ট সিরিজ জেতে ২২ বছর পর। ঘরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ২০১৬ সালে জয় করে এশিয়া কাপ। শাস্ত্রীর ব্যর্থতা, তাঁর সময়ে ভারত ফেবারিট হওয়ার পরও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটিও জয় করতে পারেনি। দুবারই ভারত বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে।
সূত্র: এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত