ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৮ নভেম্বর, ২০১৭ ১৯:০৮

৭ বলে ওভার দিয়েছিলেন আম্পায়ার, সিলেট সিক্সার্সের অভিযোগ

১৭৪ রান তাড়ায় ১৫ ওভার শেষে তখন রংপুর রাইডার্সের রান ৪ উইকেটে ১২১। পরের ৫ ওভার থেকে জিততে দরকার ৫৩ রান। বল করতে এলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। কিন্তু ওভারটি হলো ৭ বলের। তাতে এল ১০ রান, উইকেট পড়ল একটি। ম্যাচ হেরে ওই ৭ বলের ওভার নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে সিলেট সিক্সার্স।

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মঙ্গলবারের দিনের প্রথম খেলায় ৪ উইকেটে হেরে যায় সিলেট। ১০ ম্যাচে মাত্র তিনটা জেতায় কার্যত ছিটকে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকেও।  ম্যাচের পর জয়ী রংপুর রাইডার্স প্রতিনিধি সংবাদ সম্মেলনে এলেও সিলেট সিক্সার্সের হয়ে কেউ আসছিলেন না। পরে অনেক দেরি করে নাবিল সামাদ এসে জানিয়েছেন তাদের অভিযোগের কথা।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও মাঠের মধ্যেই আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা যায় সিলেট সিক্সার্সের খেলোয়াড়দের। আসলে কি হয়েছিল।

নাবিল সামাদ বললেন, ‘একটা ক্রিটিক্যাল ওয়াইড দেওয়া হয়েছিল শেষ ওভারে প্রথম বলটাতে। আরেকটা হলো ১৭তম ওভারে (আসলে ১৬তম ওভারে) একটা বল বেশি দেওয়া হয়েছে। তখনই এটা আম্পায়ারকে জানানো হয়।  এটা ৭ বলে ওভার দেওয়া হয়েছে। রাব্বির ওভারটাতে।’

সিলেট সিক্সার্সের মিডিয়া ম্যানেজার তামজিদ কানন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ দিয়েছি। আমাদের অধিনায়ক পয়েন্ট আউট করেছে মাঠের মধ্যেই। থার্ড আম্পায়ার ক্রস চেক করার পর বলেছে যে আমরা যেন লিখিত অভিযোগ দেই।’

১৬তম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন রবি বোপারা। প্রথম বলটিতে তিনি চার মেরে দেন, পরের বলে নেন এক রান। তিন নম্বর বলে রান আউট হয়ে ফেরেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। চার ও পাঁচ নম্বর বল থেকেও আসে দুটি সিঙ্গেলস। ছয় নম্বর বল থেকে দুই রান নেন বোপারা। তখনই ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু রাব্বিকে বল করতে হয়েছে একটি বেশি। সাত নম্বর বলে বোপারা আরও এক রান নেন বোপারা। ওই ওভারে স্ট্রাইকিং প্রান্তে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন মাহফুজুর রহমান।

নাবিল সামাদ জানান ‘রাব্বি আম্পায়ারকে বলছে যে আমার তো ওভার হয়ে গেছে। উনি থার্ড আম্পায়ারের কাছেও ক্রস চেক করছে কিনা আমি শিওর না। আমি ছিলাম অন্য জায়গায়। পরে শুনি যে ৭ বল দিয়েছে। আমরা বিসিবিকে বলেছি। এখন বিসিবি দেখবে।’

ঘরের মাঠে প্রথম তিন ম্যাচ জেতার পর টানা হেরেই চলেছে সিলেট সিক্সার্স। বৃষ্টির কারণে মাঝে এক ম্যাচ পরিত্যাক্ত হলে এক পয়েন্ট পেয়েছিল তারা। সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্টই তাদের একাউন্টে। এই সাত বলের ওভার ছাড়া অবশ্য টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ নেই বলেও জানান তামজিদ কানন, ‘ওটা নির্দিষ্ট একটা ওভারের জন্য। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট বা এই নিয়ে অভিযোগ করছি না। একটা ওভার বা একটা বল নিয়ে কনসার্ন ছিল। আমরা জানিয়েছি। তারা বলেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে  আমাদের জানাবে। আমরা আসলে ঠিক অভিযোগ জানাচ্ছি না, কনসার্ন জানিয়েছি। দিনের শেষে মাঠে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আমরাও জানি যে এটা আসলে কিছু করার থাকে না। ’

‘এটা পুরোপুরি বিসিবির উপরে। ফিউচারে  পরের ম্যাচগুলোতে একটু যেন খেয়াল করে। একটা বলে অনেক কিছু হতে পারে, ডট হতে পারে, উইকেট পড়তে পারে, বাউন্ডারি আসতে পারে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত