স্পোর্টস ডেস্ক

৩১ মে, ২০১৮ ১৭:৫৬

জার্মান ফুটবলারদের মদ ও নারীতে নিষেধাজ্ঞা

দুই দিন আগেই ফুটবলারদের জন্য রাশিয়ান নারীদের নিষিদ্ধ করেছেন নাইজেরিয়ার কোচ গার্নত রোর। একই পথে হেঁটেছেন জোয়াকিম লো। নিজের দলের ফুটবলারদের জন্য মদ-নারী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছেন জার্মানির এই কোচ। ওয়াইনের জন্য অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়। ঘুমানোর আগে চাইলে ওয়াইন খেতে পারবেন ফুটবলাররা। তবে সেটা এক গ্লাস।

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। জার্মানদের সামনে এখন টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। টানা দুই বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তিতে ইতালি এবং ব্রাজিলের সঙ্গে ভাগ বসানোর সুযোগ রয়েছে জার্মানদের সামনে। টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়তে শিষ্যদের প্রতি ‘নিষ্ঠুর’ হচ্ছেন জার্মান কোচ।

সম্প্রতি ইতালির ক্রীড়া দৈনিক লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোয়াকিম লো বলেন, ‘ছেলেরা আমাদের আচরণগত বিষয়ে অবহিত আছে। তারা সবাই জানে, রাশিয়া বিশ্বকাপে আমাদের দলের লক্ষ্য কী। প্রত্যেক খেলোয়াড় একটা পাজলের অংশ। ব্যক্তির চেয়ে আমাদের দল বড়।’

বিশ্বকাপ শুরু হতেই জার্মান ফুটবলাররা আড়ালে চলে যাবেন। তবে কোচ জানিয়েছেন, ফুটবলাররা পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। তিনি আরও জানান, মদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়া নিষিদ্ধের আওতায় পড়বে না। এর বাইরে মদ খাওয়ার জন্য কোনো সুযোগই পাবেন না খেলোয়াড়রা।

এখানেই শেষ নয়। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও ছবি তোলার ক্ষেত্রেও জার্মানদের জন্য থাকছে কড়াকড়ি। টিম হোটেল বা ড্রেসিং রুমের ছবি তোলা একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনের বাইরে ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে ফুটবলারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

মূলত দলের অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য কিংবা দলের পরিকল্পনা যেন বাইরে প্রকাশ না হয় এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান কোচ। টুর্নামেন্ট চলাকালীন দল ও ফুটবলারদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে নেতিবাচক কোনো খবর প্রকাশিত হোক তাও চান না জোয়াকিম লো। এ জন্যই বাড়তি সতর্কতা ও কড়াকড়ি আরোপ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত