নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মে, ২০২০ ২১:৩৩

জৈন্তাপুরে গ্রামবাসী মিলে পিটিয়ে মেরে ফেললো ৯টি প্রাণী

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুরে শুক্রবার সকালে পিটিয়ে ৯টি প্রাণী হত্যা করেছে স্থানীয় এলাবাকাসী। এদের মধ্যে ৬টি শেয়াল, ১টি বেজি, ২টি বড় বাঘডাশা রয়েছে। শুক্রবার সকালে ফতেহপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

একসাথে ৯ টি প্রাণী পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনা নজরে এসেছে বনবিভাগেরও। এঘটনার তদন্তে নেমেছে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালিপাড়া গ্রামের পাশে ঘন জঙ্গল রয়েছে। কয়েকদিনের ঢলে এই এলাকায় পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় ধরে জঙ্গলের শেয়াল লোকালয়ে এসে হাঁস-মোরগ কেড়ে নিয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার স্থানীয় যুবক ও তরুণা সমবেত হয়ে গ্রামের পাশের জঙ্গলে হানা দেয়। তারা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শেয়াল, বেজি, বাগডাশাসহ ৯টি প্রাণী হত্যা করে।

ওই গ্রামের যুবক ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কে এইচ জাকির শুক্রবার দুপুরে হত্যাকরা প্রাণীর কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

বিজ্ঞাপন



ছবিগুলোতে দেখা যায়, হত্যা করা প্রাণীগুলো মাটিতে লাইনধরে ফেলে রাখা হয়েছে। মৃত প্রাণীগুলোর পাশে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন তরুণ ও শিশু।

বনবিভাগের জৈন্তাপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন বলেন, আমি সন্ধ্যার দিকে ফেসবুকে ছবিগুলো দেখেছি। সাথেসাথেই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। কাল (শনিবার) সকালে আমরাও সেখানে যাবো।

তিনি বলেন, বন্যার খাবার সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কিছু শেয়াল এখন লোকালয়ে আসতে পারে। তবে তাদের হত্যা করা খুবই অন্যায় কাজ হয়েছে। কে এইচ জাকির ছাড়া এই ঘটনায় সম্পৃক্ত আর কাউকে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, এই করোনাকালে মানুষের মতো প্রাণীরাও সঙ্কটে আছে। এখন প্রাণীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। অথচ আমরা পিটিয়ে তাদের হত্যা করছি। এটা জঘন্য অপরাধ। যারা এর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।

এব্যাপারে বনবিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা কাল ঘটনাস্থলেো যাবেন। এ ঘটনায় মামলা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত