নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ মে, ২০২০ ১২:০১

পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘাত থেকে রক্ষা পেল বাঁশডর গ্রামবাসী

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় নবীগঞ্জ উপজেলার বিজনা নদীর জলমহাল নিয়ে বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর গ্রামের দুপক্ষের চলা চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। এর ফলে বড় ধরণের সংঘাত থেকে রক্ষা পেল বাঁশডর গ্রামবাসী।

শুক্রবার (২৯ মে) রাতে নবীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এ বিরোধ নিষ্পত্তি হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিজনা নদীর জলমহাল পুরো বাঁশডর গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে ভোগদখল করে আসছিল। কয়েকমাস পূর্বে বাঁশডর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আফরোজ মিয়া স্থানীয় ৫৭ জন মৎসজীবী নিয়ে বিজনা নদীর জলমহাল পাওয়ার জন্য আবেদন করে। পক্ষান্তরে বাঁশডর গ্রামবাসীর পক্ষে রাজা মেম্বার, কাচন মিয়াসহ ২৩৫ জন মৎস্যজীবী বিজনা নদীর জলমহাল পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত করে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নেয়।

এ খবর পেয়ে বড় ধরণের সংঘাত এড়াতে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি করে দেয়ার আশ্বাস দেয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নবীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উভয় পক্ষের সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বের ন্যায় পুরো বাঁশডর গ্রামবাসী বিজনা নদীর জলমহাল ভোগদখল করবেন এবং উভয় পক্ষের দেওয়া পৃথক আবেদন প্রত্যাহার করে পুরো বাঁশডর গ্রামবাসী সকলে মিলেমিশে একটি আবেদন পুনরায় দিবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এতে উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট হয়।

শালিস বৈঠকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান, ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ, ওসি (অপারেশন) মো. আমিনুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত