শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ মে, ২০২০ ১৩:৩৫

শায়েস্তাগঞ্জে করোনা আতঙ্কের মধ্যে ডেঙ্গুর শঙ্কা

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ডেঙ্গুর আশঙ্কা করছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার লোকজন। বর্ষার শুরুতেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মশার উপদ্রবে। বিশ্বময় করোনা প্রাদুর্ভাবের মাঝে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উৎপাত। বর্তমানে পৌর শহরের সর্বত্র মশার উপদ্রবে বিপর্যস্ত জনজীবন। মশার উৎপাত নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। মশার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘরে বাইরে সর্বত্র মশার উপদ্রব, এমতাবস্থায় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী।

জানা যায়, পৌর এলাকার চারিদিকে ঘরে ঘরে সাধারণ জ্বরে ভুগছে লোকজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তার কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সবাই। সাধারণ জ্বর নাকি অন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। করোনা না কি ডেঙ্গু তা নিশ্চিত হতে না পারায় আতঙ্কে রয়েছেন পৌর এলাকার জনসাধারণ।

বিজ্ঞাপন

মশাবাহিত বিভিন্ন রোগবালাইয়ের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ মশক নিধনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এ পরিস্থিতিতে মশার বংশ বিস্তারের সকল উৎসসমূহ ধ্বংস করা আবশ্যক। এতে করে মশার ঘনত্ব যেমন হ্রাস পাবে ঠিক তেমনি মশার অনিষ্ট থেকে রেহাই পাবে জনসাধারণ।

বর্তমানে করোনাভাইরাস আতঙ্কে থমকে আছে গোটা বিশ্ব। এর প্রতিকার ও প্রতিরোধের খোঁজে হিমশিম খাচ্ছেন পৃথিবীর বড় বড় রোগতত্ত্ববিদরা। এই মূহুর্তে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সকল চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেখা দিবে নতুন জটিলতা। বিশেষ করে করোনাভাইরাস বিস্তার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে নিশ্চিত করে বলা যায়।

এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন আবাসিক এলাকায় দেখা যায়, পৌরসভার কয়েকজন কর্মী মশক নিধনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা জানান, এলাকায় মশক নিধনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম পৌর এলাকার সব কয়টি ওয়ার্ডে প্রয়োগ করা হবে।

পৌরসভার দাউদনগর মহল্লার বাসিন্দা তানভীর চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সারা দেশ আতঙ্কে আছে এর মাঝে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে সব সময়ই ঘরে-বাইরে মশার আক্রমণ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে যদি ডেঙ্গুজাতীয় রোগবালাই দেখা দেয় তা হলে মৃত্যু ছাড়া উপায় নাই। কারণ এখন ডাক্তার-টেস্ট কিছুই পাওয়া যাবে না। এ পরিস্থিতিতে শায়েস্তাগঞ্জে এখনই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

পাশাপাশি মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক স্থানসমূহ চিহ্নিত করে বংশবিস্তার রোধকল্পে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এতে করে আসন্ন মশার উৎপাত থেকে সবাই রক্ষা পাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. ছালেক মিয়া বলেন ইতিমধ্যেই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করোনার মধ্যেও পৌর এলাকার সবকয়টি ওয়ার্ডে ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও মশা নিধনে স্প্রে করা হয়েছে। বৃষ্টি-বাদল শুরু হওয়ায় আবার মশার জন্ম হয়েছে। তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত