কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ মে, ২০২০ ১৮:৩০

পূর্ব শত্রুতার জেরে কুলাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৪

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে, প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহমদ আলী বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে ২৬ মে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ২২ মে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শরীফপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাঘজুড় ও শরীফপুর গ্রামের আব্দুল খালিক মনিয়া, লোকমান মিয়া, কাদির মিয়া, আসাব আলী, কামাল, সোলেমানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ দল লোহার রড়, কাঠের বর্গা, দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। এসময়ে তাদের হামলায় শরীফপুর গ্রামের আহমদ আলী (৪২), ইউনুছ আলী (৩৫), আছমা বেগম ( ২৭) ও সুলতানা বেগম (২৮) আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আহমদ আলী ও ইউনুছ আলীকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আহমদ আলী বলেন, আমার ভাই মো. ইব্রাহিম আলীকে ২০০৯ সালে পার্শ্ববর্তী বাঘজুড় গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামি আব্দুল খালিক মনিয়া, কাদির মিয়া গংরা জামিনে এসে আমাকে ও আমার পরিবার সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা চালিয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আমার বাড়িতে ডিস লাইনের সংযোগ স্থাপনের জন্য ডিসকর্মীরা আসলে হামলাকারীরা বিদ্যুৎকর্মী ভেবে তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময়ে এর কারণ জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের লোকেরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে রক্তাক্ত আহত করে ও আমার স্ত্রী আছমা বেগকে শ্লীলতাহানি করে। এসময় আমার পকেট থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় আমি ১৩ জনকে আসামি করে গত ২৬ মে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আমাকে না জানিয়ে গত ২৭ মে তদন্তে এসে আমার জমিতে দেয়া বেড়া উপড়ে ফেলেন। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ আমার পরিবার সদস্যদের গালিগালাজ করেন।

অভিযোগ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, মারামারি ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজনও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এএসআই আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে। তবে বেড়া উত্তোলনের বিষয়টি সত্য নয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত