নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ মে, ২০২০ ১২:৪৩

সিলেটে জিপিএ-৫ এ এগিয়ে মেয়েরা, পাসের হারে ছেলেরা

ফাইল ছবি

মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এ সিলেট বোর্ডে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। আর পাসের হারে এগিয়ে আছে ছেলেরা।

রোববার (৩১ মে) সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। অপরদিকে মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

আবার এ বছর সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২ হাজার ৮১ জন ছেলে এবং ২ হাজার ১৮২ জন মেয়ে।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ জন, মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬১ জন।

সিলেট জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ১৮০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৫৩ জন ও মেয়ে ১ হাজার ১২৭ জন। হবিগঞ্জের ৬০৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এদের মধ্যে ২৯০ জন ছেলে এবং ৩১৫ জন মেয়ে।

মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৬৫ জন। এর মধ্যে ৫২৭ জন ছেলে এবং ৫৩৮ জন মেয়ে। সুনামগঞ্জ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৪১৩ জন। এর মধ্যে ২১১ জন ছেলে এবং ২০২ জন মেয়ে।

সিলেটে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গতবার পাশের হার ছিল ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ আর এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী। এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ জনে।

সিলেট বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসিতে ৯১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ১৬ হাজার ১০৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পাস করেছেন ৯১ হাজার ৪৮০ জন। এদের মধ্যে ছেলে ৩৯ হাজার ৫০৪ জন এবং মেয়ে ৫১ হাজার ৯৭৬ জন।

সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছর ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন।

এবার কেবল ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।

যেসব পরীক্ষার্থী নির্ধারিত নিয়মে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে প্রাকনিবন্ধন করেছে, তাদের মুঠোফোন নম্বরে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে।

নয়টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডের ৭১ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবারও পাসের হারে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। ছাত্রদের পাসের হার যেখানে ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সেখানে ছাত্রীদের মধ্যে ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ পাস করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত