নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ জুন, ২০২০ ০১:৩৬

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বন্ধ থাকবে ‘নগর এক্সপ্রেস’

দুই মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে চালু হয়েছে গণপরিবহন। সারাদেশের মতো সিলেটেও দুরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে সিলেট নগরীর একমাত্র গণপরিবহণ ‘নগর এক্সপ্রেস’। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নগরীর এই বাস সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গণপরিবহীন সিলেট নগরীতে গত বছরের ডিসেম্বরে ৪১ টি মিনিবাস নিয়ে চালু হয় ‘নগর এক্সপ্রেস’। সিলেট সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই পরিবহন সেবা করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতির আগে এটি চালু করা হবে না জানিয়ে নগর এক্সপ্রেস মালিক সমিতির সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান কামরান বলেন, করোনা পরিস্থিতির দিনদিন অবনতি হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় আমরা বাস সার্ভিসটি চালু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বিজ্ঞাপন



তিনি বলেন, আমাদের বাসগুলো ছোট। যাত্রীদেরও চাপ থাকে। ফলে এখানে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা কঠিন। যাত্রীরাও অনেক সময় এগুলো মানতে চান না। ফলে বাস সার্ভিস চালু হলে সক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তাই আমরা আরও ১০/১২ দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।   এরপরে চালু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি না হলে আপাতত বাস চালুর পরিকল্পনা নেই।

এদিকে, সারাদেশের মতো সিলেটেও বেড়ে চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সোমবার সিলেটে আরও ৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে পুরো বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯৮ জন।

এদিকে, অফিস আদাতালসহ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও নগরীর গণপরিবহন সেবা চালু না হওয়ায় বিপাকে পরেছেন নগরীর আশপাশের নিন্ম আয়ের যাত্রীরা। বাধ্য হয়েই তাদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায় গাদাগাদি করে নগরীতে আসতে হচ্ছে।
‘নগর এক্সপ্রেস’ নগরীর উপকণ্ঠের টুকেরাবাজার, বটেশ্বর, হেতিমগঞ্জ, বিমানবন্দর ও মোগলাবাজার পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এসব  এলাকার যাত্রীরা সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন।

মোগলাবাজার থেকে সিলেট নগরীতে আসা একটি পোষাকের দোকানের কর্মচারী সাইদুল ইসলাম বলেন, আগে নগর এক্সপ্রেসে করে কম ভাড়ায় যাওয়া আসা করতে পারতাম। এখন বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাওয়া আসা করতে হয়। তাও বসতে হয় গাদাগাদি করে।

বিজ্ঞাপন



নগর এক্সপ্রেস বন্ধ থাকলেও সিলেটে অন্য বাস সার্ভিসগুলো সোমবার থেকে চালু হয়েছে। দূরপাল্লার পাশাপাশি আন্তঃজেলা বাস চলাচলও শুরু হয়েছে সকাল থেকে। তবে সোমবার সিলেটে যাত্রী সংখ্যা ছিলো অপেক্ষাকৃত কম।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনেই বাস চালাচ্ছি। সিট সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী তোলা হচ্ছে। তাছাড়া আজ যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক বাস অর্ধেক যাত্রীও পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেউ এরচেয়ে বেশি বৃদ্ধি করেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত