কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৯ জুন, ২০২০ ২০:১১

কমলগঞ্জে জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনে তিনগুণ অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জেএসসি শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে বোর্ড নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ফরম পূরণ, ভর্তি ক্ষেত্রে বাণিজ্যের কথা শোনা গেলেও এবার করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে দুর্যোগকালীনও বাণিজ্য চলছে। ফলে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় দরিদ্র অভিভাবকদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে   নিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৭ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ জেএসসি শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি ৩০ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৫ টাকা, অন্ধকল্যাণ ফি ৫ টাকা এবং উন্নয়ন ফি ২৫ টাকা হিসাবে মোট ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২৫ টাকা আদায় করার কথা। এর সাথে প্রতিষ্ঠান প্রতি জাতীয় স্কুল ক্রীড়া এ্যাফিলিয়েশন ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ রয়েছে। তবে কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুইশ, আড়াইশ, তিনশ’ টাকা হারে ফি আদায় করছে। ফলে করোনাকালীন দরিদ্র অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের জন্য এই টাকা পরিশোধ করাও বাড়তি চাপ বলে মনে করছেন।

অভিযোগ করে আব্দুল মোস্তাকিম, জমশেদ আলীসহ অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহেও এসব অনিয়ম কাম্য নয়। করোনা ভাইরাস নিয়ে পুরো দেশ যেখানে অচল সেখানে দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা আদায় করা শিক্ষকদের বাণিজ্য হয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

পতনউষার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ আহমদ জানান তিনি ২৫০ টাকা হারে আদায় করছেন। শমশেরনগর হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিক জানান তিনি ২৬০ টাকা, এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর জানান ১৫০ টাকা, কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র কুমার পাল জানান, ২শ’ টাকা, কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান ৩০০ টাকা হারে আদায় করছেন।

এছাড়া কালেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ২৫০ টাকা, কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আহমদ ইকবাল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ২শ’ টাকা হারে আদায় করছেন। এছাড়াও অভয়চরণ উচ্চ বিদ্যালয় ২শ’ টাকা, চিতলিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২শ’ টাকা, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় ২শ’ টাকা হারে আদায় করছেন। শুধুমাত্র ইসলামপুর পদ্মা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫০ ও আদমপুর তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮০ টাকা, ভান্ডারিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮০ টাকা আদায় করছেন।

অভিযোগ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকরা বলেন, অনলাইনের চার্জ, ছবি তোলা, বোর্ডে আসা যাওয়া, চা নাস্তা এসবে বাড়তি টাকা খরচ হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো।

কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নাসরিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত