নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ অক্টোবর, ২০১৫ ২২:৫৫

প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এসিড নিক্ষেপ: আক্রান্ত ছাত্রীর দায়িত্ব নিলো ব্র্যাক

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বখাটের ছোড়া এসিডে ঝলসে যাওয়া কলেজ ছাত্রী সুখি বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ব্র্যাক। আক্রান্ত সুখি বর্তমানে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এছাড়া এসিড নিক্ষেপের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আজ সকালে নগরীর মির্জাজঙ্গাল এলাকায় মানববন্ধন করবে যৌন হয়রাণি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক।

ব্র্যাক'র মেজনিন কর্মসূচীর সেক্টর স্পেশালিস্টরবিউল ইসলাম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এসিড নিক্ষেপের খবর পাওয়ার পর আমি কলেজ ছাত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কেরও দুই সদস্য দেখতে যান।

তিনি বলেন, ব্র্যাক এই কলেজ ছাত্রীর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

কলেজ ছাত্রীর শরীর। এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় স্থানীয় বখাটে মোহন মিয়া (২০) আটক করেছে পুলিশ। প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মোহন এসিড নিক্ষেপ করে বলে জানায় পুলিশ।

গত ৭ অক্টোবর রাতে জামালগঞ্জে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সুখি বেগমের (১৭) উপর এসিড ছুড়ে মারে এক বখাটে। সুখি সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।

জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনের বাক ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে সুখিকে অনেকদিন থেকেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো একই গ্রামের বখাটে মোহন মিয়া। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার বিভিন্ন সময় সুখিকে বিরক্ত করতো সে। কলেজ যাওয়া আসার পথেও উত্যক্ত করতো।

বুধবার রাত দেড়টার দিকে রান্নাঘর দিকে ঘর ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুখির শরীরে এসিড ছুঁড়ে মারে মোহন। এতে সুখির মুখ ও হাত ঝলসে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আক্রান্তের ভাই মনোয়ার হাসেন বাদি হয়ে জামালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মোহন মিয়া নামে এক বখাটেকে আটক করে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ। মোহন লক্ষীপুরের সালেক মিয়ার ছেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত